একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে চমক দেখিয়েছিলেন মোকাব্বির খান। সেবার সিলেটের বাকি পাঁচটি আসনেই আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা বড় ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছিলেন। অথচ ভোটারদের কাছে একেবারে অপরিচিত মোকাব্বির আচমকা সুযোগ পেয়েই সংসদ নির্বাচিত হয়ে চমক দেখান।
এবারও এই আসনে প্রার্থী হয়েছেন গণফোরামের এ নির্বাহী সভাপতি, তবে রোববার যাছাই-বাছাইকালে তার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
মোকাব্বিরের মনোনয়নপত্র বাতিল প্রসঙ্গে সিলেটের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান বলেন, ‘যারা দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন, তাদের মনোনয়নপত্রে কাদের স্বাক্ষর থাকলে সেটা অনুমোদন হিসেবে গণ্য হবে, তার একটি তালিকা আমরা নির্বাচন কমিশন থেকে পেয়েছি। সেখানে গণফোরামের প্রতিনিধি হিসেবে যাদের কথা বলা হয়েছে, তার সাথে মোকাব্বির খানের প্রদানকৃত সনদের মিল নেই।
‘মোকাব্বির খান সিলেট-২ আসনে গণফোরামের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্রে দলের নির্বাহী সভাপতি হিসেবে তিনি নিজেই তার মনোনয়নপত্রে সই করেন, কিন্তু তিনি যে দলের নির্বাহী সভাপতি বা সিদ্ধান্ত প্রদানকারী ব্যক্তি, তার কোন প্রমাণ রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে উপস্থাপন করতে পারেননি। এ কারণে তার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।’
তিনি যে দলের সিদ্ধান্ত প্রদানকারী ব্যক্তি, এটি কীভাবে প্রমাণ করবেন এমন প্রশ্নে রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, ‘এর আইনি ব্যাখ্যা আমি দিতে পারব না। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।’
এ ব্যাপারে সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোরকে বলেন, ‘আমি যে গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি, এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন অবগত আছে। তাদের সাথে আলাপ করেই আমি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। আমি এখন ঢাকায় যাচ্ছি। কমিশনে গেলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।’
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্টের মনোনয়ন চেয়েছিলেন মোকাব্বির খান। মনোনয়ন না পেয়ে যুক্তরাজ্য চলে যান গণফোরামের এ নেতা। সেবার ধানের শীষ প্রতীকে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হন নিখোঁজ বিএনপি নেতা এম. ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসীনা রুশদীর লুনা, তবে আইনি জটিলতায় শেষ মুহূর্তে লুনা প্রার্থী হতে না পারায় যুক্তরাজ্য থেকে দেশে এনে প্রার্থী করা হয় মোকাব্বির খানকে। নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী জাতীয় পার্টি নেতা ইয়াহইয়া চৌধুরীকে পরাজিত করে বিজয়ী হন তিনি।
Leave a Reply