সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার গোয়াইন নদী (চাতল হাওর ও কৈয়ার হাওর )থেকে দিন-রাত অবাধে চলছে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন। অসংখ্য অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন ও ক্রয়-বিক্রয় চলাচ্ছে একটি সিন্ডিকেট। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে ভাঙনের হুমকির মুখে পড়েছে গোয়াইন নদীর তীরবর্তী (চাতল হাওর ও কৈয়ার হাওর) এলাকার বাড়িঘর ও ফসলি জমি। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের জন্য,প্রবাসী কল্যান ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ ও গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন উপজেলার ডৌবাড়ী ইউনিয়ন চাতল হাওর ও কৈয়ার হাওর গ্রামবাসীর পক্ষে সুনা মিয়া, জমসির,আতাউর রহমান, এবাদ, আব্দুল জলিল সহ কয়েকজন।
গোয়াইন নদীর তীরবর্তী চাতল হাওর ও কৈয়ার হাওর বালু উত্তোলন বন্ধ না হলে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ও প্রাণহানির আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলার পশ্চিম আলীরগাও ইউনিয়নের পূর্না নগর গ্রামের আসফাক উদ্দিন, ফয়েজ উদ্দিন, মনির উদ্দিন গংরা অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সিন্ডিকেটের অন্যতম হোতা। তাদের তত্ত্বাবধানে ক্ষমতাধর বিভিন্ন ব্যক্তিকে ম্যানেজ করে চলছে বালু উত্তোলন। তাদের ভয়ে অনেকে মুখ খুলে কিছু বলতে পারছে না। অবৈধভাবে প্রতিদিন ভোর থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত প্রায় ২৪ ঘণ্টাই ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। আর তা শত শত ভলগেড, কার্গো ও ট্রলার দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বিভিন্ন স্থানে। যে চক্রটি বালু উত্তোলন ও বিক্রি করছে তাদের এ-সংক্রান্ত কোনো অনুমতি বা অনুমোদনও নেই। প্রতিদিন বিক্রি হচ্ছে লাখ লাখ টাকার বালু। পেশিশক্তির বলে সিন্ডিকেটটি অবৈধভাবে বালু বিক্রি করে আসছে।
অভিযোক্তদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তারা কেউই কল রিসিভ করেন নি।
এবিষয়ে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিলুর রহমান বলেন,অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসন প্রায়ই অভিযান পরিচালনা করে আসছে। তদন্ত করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে
দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply