আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সিলেট জেলার ৬ টি সংসদীয় আসনে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা।সিলেট -৪ সংসদীয় আসনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ডজন খানেক নবীন ও প্রবীন সম্ভাব্য প্রার্থীর খোঁজ মিলেছে।ভোটের রাজনীতিতে মাঠে সক্রিয় রয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ। পিছিয়ে নেই দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাহিরে থাকা বিএনপি, জামায়াত ও জমিয়তের প্রার্থীরা। বিএনপি ভাল প্রার্থী বাছাই করতে ভূল করলে এ আসনটি হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে অনেকেই মনে করছেন।জামায়াত প্রার্থীর সক্রিয়তা এবং বিএনপির বিরাট একটি অ়ংশের উপর তার প্রভাব আগামী দিনে এ আসনটি জামায়াতের দখলে চলে যাওয়ার সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেয়া যায় না।তবে আওয়ামীলীগের শক্ত ঘাঁটি বলে খ্যাত এ আসনটিতে যেকোন ভাবে ধরে রাখতে চায় ক্ষমতাসীনরা ।

ইমরান আহমদ এমপি

সিলেট-৪ (কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুর)সংসদের ২৩২ নং আসন। এ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি দীর্ঘ ছয় টার্ম আসনের এমপি ও চলমান মেয়াদে মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। এ বছর ইমরান কে ভরসা রাখতে চায় আওয়ামীলীগ এমনটাই দাবি তৃণমূল নেতাকর্মীদের। জানতে চাইলে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা তামিম ইকবাল তাহের বলেন আওয়ামীলীগ একটি নির্বাচন মুখী ও গনমানুষের দল। তাই গুরুত্বপূর্ণ এ আসনে হেভিওয়েট প্রার্থী হিসাবে ইমরান আহমদ এর বিকল্প নেই। ইমরান আহমদ একাধারে বর্ষিয়ান পার্লামেন্টিরিয়ান ও শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত রাজনীতিবিদ।

আরিফুল হক চৌধুরী
হঠাৎ সিলেট চার আসনের রাজনীতির মাঠে আলোচনায় এসেছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও বিএনপির চেয়ারপার্সন এর উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী। সিটি নির্বাচনে অংশ না নিয়ে লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথে বৈঠকের পর রাজনীতির মাঠে এমন গুন্জন হচ্ছে। গোয়াইনঘাট উপজেলা শ্রমিক দলের আহ্বায়ক জানান এ আসনে ইমরান আহমদ কে মোকাবিলা করতে হলে শক্তিশালী প্রার্থী প্রয়োজন, তাই আরিফুল হক চৌধুরী একজন ক্লীন ইমেইজের পলিটিশিয়ান হিসাবে তাকে দিয়েই এ আসনে বিএনপির জয় সম্ভব।

এডভোকেট জেবুন্নাহার সেলিম

বিএনপি’র প্রয়াত এমপি দিলদার হোসেন সেলিমের সহধর্মিণী এডভোকেট জেবুন নাহার সেলিম। তিনি একাধারে সিলেট জেলা মহিলা দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জর্জ কোর্টের এক্স অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর। এমপি সেলিমের জীবদ্ধশায় তিনি একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করেছেন। উচ্চ শিক্ষিত ও উন্নয়ননের রুপকার খ্যাত দিলদার হোসেন সেলিম এর সহধর্মিণী হিসাবে এ অঞ্চলের মানুষের আস্থা ও ভালবাসা পাবেন তিনি এমন মন্তব্য অনেকের। গোয়াইনঘাট উপজেলা ছাত্র দলের আহ্বায়ক এডভোকেট শাহেদ আহমদ জানান আমরা আস্থা রাখছি দেশ নায়ক তারেক রহমানের উপর। নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ হলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুন-প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দল যাকে নমিনেশন দিবে তার জন্য আমরা কাজ করব।

জয়নাল আবেদীন

সিলেট চার আসনকে ঘীরে রয়েছে জামায়াতের মহা পরিকল্পনা। পাশাপাশি এ আসনে জামায়াতের শক্তিশালী প্রার্থী হিসাবে দুই দুই বার জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন হন। সিলেট জেলা উত্তর শাখার সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ব্যবসায় সফল, সামাজিক ও রাজনৈতিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত, বৃহত্তর জৈন্তিয়া সতেরো পরগনার অন্যতম সমন্বয়ক হিসাবে দৃড়তার সাথে কাজ করছেন তিনি। জামায়াতের রাজনীতির পাশাপাশি বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সাথে রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক। জানতে চাইলে জামায়াত নেতা কামাল উদ্দিন জানান নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুন-প্রতিষ্ঠা ও সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনের পাশাপাশি রাজনৈতিক মাঠে ভোটের প্রস্তুতি রয়েছে আমাদের। আমরা তিন উপজেলার প্রতিটি ওয়ার্ডে কমিটি গঠন করেছি এখন সেন্টার কমিটি গঠনের কাজ করছি।

আব্দুল হাকিম চৌধুরী

সিলেট চার আসনের নির্বাচনী মাঠে আলোচনায় রয়েছেন জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম চৌধুরী। তিনি একাধারে দুই দুইবার গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ছিলেন। জানতে চাইলে গোয়াইনঘাট উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দিন জানান আব্দুল হাকিম চৌধুরী তৃণমূল থেকে বেড়ে উঠা নেতৃত্ব এবং এ আসনের স্থানীয় বাসিন্দা তাই তাকে দল মনোনয়ন দিলে আওয়ামীলীগের সাথে ভোট যুদ্ধে জয়ী হওয়া সম্ভব হবে। বিএনপির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আব্দুল হাকিম চৌধুরী দলের নিবেদিত কর্মী হিসাবে কাজ করে যাচ্ছেন তাই ত্যাগী পরিক্ষিত নেতা হিসাবে তাকেই দল প্রার্থী দিলে বিজয়ী করা সম্ভব হবে।

গোলাপ মিয়া

এ আসনে আওয়ামীলীগের সবচেয়ে ফ্যাক্টর প্রার্থী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী লন্ডন প্রবাসী শিল্পপতি গোলাপ মিয়া।তাহার প্রার্থীতায় স্বয়ং নড়েচড়ে বসেছেন খোদ প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রীও। ঘন ঘন সফর ও তৃণমূল নেতাকর্মী ও জনগণের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন তিনি। তিনি একাধারে জেলা আওয়ামীলীগের কার্যকরি সদস্য ও গোয়াইনঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। জানতে চাইলে যুবলীগ নেতা নুরুল আলম জানান আমরা তৃণমূল চাই নবীন প্রার্থী, কারন এখন এই অত্যাধুনিক যোগে সব মানুষই পরিবর্তন চায়, তাই এর ধারাবাহিকতার অংশ হিসাবে এ আসনে গোলাপ মিয়া ইজ দ্যা বেষ্ট কেন্ডিডেট

এডভোকেট মাহফুজুর রহমান

সিলেট জেলা আইনজীবি সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের এডিশনাল পিপি এডভোকেট মাহফুজুর রহমান। তিনি একাধারে ছাত্রলীগ থেকে বেড়ে উঠা নেতৃত্ব, তাই নবীন প্রার্থী হিসেবে তাকে ঘিরেই ছক আকছেন অনেকেই। জেলা যুবলীগ নেতা জামাল আহমদ জানান এডভোকেট মাহফুজুর রহমান একজন বিজ্ঞ আইনজীবী ও ক্বীন ইমেইজের রাজনীতিবিদ ও সমাজ সেবক।

হেলাল উদ্দিন আহমেদ

সারা দেশে যখন জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি হামলা মামলার শিকার তখন সিলেটের জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট কোম্পানিগন্জে নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন গোয়াইনঘাটের নন্দীরগাঁও ইউনিয়নের বহর গ্রামের প্রয়াত বিএনপি নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মরহুম হাজী তেরা মিয়া বতন এর সুযোগ্য উত্তরসূরী হেলাল উদ্দিন আহমেদ। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৪ আসনে হেলাল উদ্দিন আহমেদ প্রার্থী হওয়ার সম্ভবনায় এলাকায় প্রাণ চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মী ও জনসাধারণে উৎসাহ দেখা দিয়েছে। হামলা মামলা সহ সকল বিষয় মাথায় রেখে জেলা বিএনপির সাথে সমন্বয় করে নির্দেশনা দিচ্ছেন তিনি। জানতে চাইলে গোয়াইনঘাট উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সিনিয়র সহ সভাপতি মদরিস আলী জানান যদি নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ হয় তাহলে তরুন প্রার্থী হিসাবে হেলাল উদ্দিন কে বিবেচনায় নিয়ে আসা যায়। কারন সে অনেকটা আগাচ্ছে এবং দলের দূর্দিনে কাজ করে যাচ্ছে, তাই নবীন নেতৃত্ব হিসাবে হেলাল উদ্দিন কে দল মনোনয়ন দিলে বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ব্যারিস্টার কামরুজ্জামান সেলিম

এ আসনে দলের আলোচনায় রয়েছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার কামরুজ্জামান সেলিম। তিনি দীর্ঘদিন থেকে দলের আইনী বিষয়ে কাজ করছেন। দলের নেতাকর্মীদের মামলা পরিচালনা করে আসছেন। আলোকিত গোয়াইনঘাট কে আলাপকালে তিনি আমরা এখন এক দফা এক দাবীতে আন্দোলন করছি। শেখ হাসিনার পতন ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুন-প্রতিষ্ঠা ছাড়া আমরা নির্বাচনে যাব না। আমাদের দলের দাবি বাস্তবায়ন হলে এ আসনে আমার দলের মনোনয়ন চাইব, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ও আমি মনোনয়ন চেয়েছি। সমসুরে কথা বলেন গোয়াইনঘাট উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি উসমান গনি।

নাজমুল আলম রুমেন

নাজমুল আলম রুমেন জাতীয় শ্রমিক লীগ সিলেট মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্ৰীয় সদস্য, সিলেট শ্রম আদালতের প্রতিনিধি। সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার এ বাসিন্দা আগামী নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন চাইবেন এমনটাই জানিয়েছেন তরুন আওয়ামীলীগ নেতা ও গোয়াইনঘাট ট্রাভেলস এন্ড ট্যুর এর সত্ত্বাধীকারী মুজিবুর রহমান

মুজিবুর রহমান ডালিম

বৃহত্তর সতেরো পরগনার অন্যতম মুরব্বী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মরহুম ফয়জুর রহমান এর সুযোগ্য সন্তান মুজিবুর রহমান ডালিম, তিনি একাধারে জাতীয় ছাত্র সমাজ থেকে জাতীয় পার্টির রাজনীতি করে আসছেন। এভাবের নির্বাচনে সিলেট চার আসনে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন দৌড়ে তিনি এগিয়ে রয়েছেন। তবে দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এ টি ইউ তাজ রহমান এ আসনে দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। মুজিবুর রহমান একাধারে একজন রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক ও সমাজ কর্মী।

আতাউর রহমান কোম্পানীগন্জী

প্রাচীন কাল থেকে ধর্মীয় রাজনীতির প্রভাব রয়েছে এ আসনে। বিভিন্ন কওমী মাদ্রাসা সহ একাধিক এলাকায় জমিয়তের ঘাটি হিসাবে পরিচিত এ আসনে অতীতের ন্যায় জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের খাজুর গাছের প্রার্থী হচ্ছেন মাওলানা আতাউর রহমান কোম্পানীগন্জী। তিনি একাধারে একজন বিজ্ঞ আলীম, জেলা উত্তর জমিয়তের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক।

ব্যারিস্টার আবু শাহাদাত ডালিম (সুহেল)

দেশের রাজনৈতিক মাঠে দীর্ঘ দিন থেকে লন্ডনের একটা প্রভাব রয়েছে। নানান সময়ে লন্ডন থেকে এসে জনপ্রতিনিধি হন অনেক প্রবাসী। এ নির্বাচনে সিলেট চার আসনে নিজকে প্রার্থী বলে দাবি করছেন সদ্য লন্ডন থেকে ব্যারিস্টার খেতাব প্রাপ্ত জৈন্তাপুর উপজেলার দরবস্তের সন্তান ব্যারিস্টার আবু সাদাত ডালিম ( সুহেল)

আগামী সংসদ নির্বাচন দেশের রাজনীতিতে এ আসন বিশাল প্রভাব পড়বে। জামায়াত, বিএনপি জোট থেকে সরে দাঁড়ানো সব মিলিয়ে ভোটের হিসাব নিকাশ কোনদিকে মোড় নিবে তা নিয়ে ভোটারদের মধ্যেই চলছে আলাপ আলোচনা,নানা গুঞ্জন। দেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় মহাজোট এবং বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট প্রায় দুই যুগ থেকে দলগত ভাবে নির্বাচন করে আসছে।সাম্প্রতিক কালে বিএনপির জোটে বিভক্তি দেখা দিয়েছে।বিএনপির বড় অংশীদার জামায়াত জোট ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে।এবং সারাদেশে বিভিন্ন আসনে নিজেদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে।

সংবিধান অনুযায়ী এবছরের ডিসেম্বর অথবা ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।তবে রাজনীতিতে যেকোন সময় নয়া মেরুকরণও ঘটতে পারে বলে অনেকে আশংকা করছেন।দলগুলোর জেলা পর্যায়ের নেতাদের সাথে আলাপকালে জানা যায়, আওয়ামীলীগ জাতীয় নির্বাচন,বিএনপি গণতন্ত্র ও অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন নিয়ে ব্যস্ত।অপরদিকে জামায়াত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন ছাড়া নির্বাচনে যাবে না।তবে তাদের এই সিদ্ধান্ত যে কোন সময় পরিবর্তন হতে পারে বলে দলীয় একটি সুত্র তা নিশ্চিত করেছে।

এ ব্যাপারে সিলেট জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন,সংসদীয় আসনে প্রার্থী মনোনয়নের জন্য দলের নির্বাচনী বোর্ড আছে।দলীয় প্রধান দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই তা ঠিক করে থাকেন।সিলেট -৪ আসনে আওয়ামীলীগ থেকে একাধিক প্রার্থীর গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আওয়ামীলীগ এদেশের অন্যতম বৃহৎ প্রাচীনতম একটি রাজনৈতিক দল।এ দলে কর্মীর সংখ্যা যেমন বেশী,তেমনি নেতাদের সংখ্যাও বেশী।তিনি বলেন,প্রতিযোগিতা আছে প্রতিযোগিতা থাকবে।আওয়ামীলীগ প্রতিযোগিতায় বিশ্বাসী, প্রতিহিংসায় নয়।

সিলেট জেলা বিএনপি’র সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন,আমরা আন্দোলন নিয়ে ব্যস্ত আছি।নির্বাচন নিয়ে সিলেট -০৪ কেন কোন সিটেই কোন চিন্তা আমরা আপাতত করছি না, আরেকটু সময় যাক। আমরা যে আন্দোলন করেছি, সেটা হোক।

এ ব্যাপারে সিলেট জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জয়নাল আবেদীন জানান আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত আমীর ডাক্তার শফিকুর রহমান এর মুক্তি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুন-প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে আমরা মাঠে রয়েছি। তবে নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি আছে আমাদের সুষ্ঠু পরিবেশ হলে আমরা সিলেট চার আসনে নির্বাচন করব এবং বিজয়ী হব।

জানতে চাইলে গোয়াইনঘাট উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি ও জেলা বিএনপির উপদেষ্টা আব্দুল মতিন জানান শেখ হাসিনার পদত্যাগ, নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুন-প্রতিষ্ঠা ও দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং তারেক রহমান দেশে ফিরিয়ে এনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি সিলেট চার আসনে নির্বাচন করবে এতে আমরা বিজয়ী হবো।