1. admin@jalalabadtims.com : admin :
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:০৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বড়লেখা সীমান্তে চা শ্রমিক গোপাল হত্যায় জামায়াতের নিন্দা সীমান্তে হত্যার বিচার না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে- বিএনপি নেতা সাজু বড়লেখার সীমান্তে পড়েছিল চা শ্রমিকের গুলিবিদ্ধ নিতর দেহ মহান বিজয় দিবসে ৩ নং পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন ছাত্রদলের শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ অনিয়মের সম্রাট হরলাল সরকার ” কোম্পানিগঞ্জ স্টেশনে ৬ বছর”  একই স্টেশনে হরলাল সরকার ৬ বছর” দুর্ণীতির টাকায় গড়েছেন অর্থের পাহাড় জৈন্তাপুরে শ্রীপুর কুয়ারীতে বার বার অভিযান সত্ত্বেও থামছে না বালু পাথর চুরি গোয়াইনঘাটে ছাত্রদল সভাপতি পরিচয়ে হাসানের বেপরোয়া চাঁদাবাজী জৈন্তাপুরে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস উপলক্ষে র‍্যালী ও আলোচনা সভা গোয়াইনঘাট ফতেপুর ইউনিয়ন জামায়াতের কমিটি গঠন “সভাপতি মিসবাহ সেক্রেটারি নজরুল

জৈন্তাপুরে শ্রীপুর কুয়ারীতে বার বার অভিযান সত্ত্বেও থামছে না বালু পাথর চুরি

জালালাবাদ টাইমস ডেস্ক :
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪

শ্রীপুর পাথর কোয়ারীতে প্রশাসনের অভিযানকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সক্রিয় নতুন চক্র

২০১৭ সালের পর থেকে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় বিগত ৭/৮ বছর যাবৎ ভারতীয় সীমান্ত ঘেঁষা শ্রীপুর পাথর কোয়ারীতে সব ধরণের বালু পাথর উত্তোলন বন্ধ রয়েছে।
বিক্ষিপ্তভাবে কিছু সংখ্যক শ্রমিক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রশাসন ও বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে ভারতীয় সীমান্ত ঘেঁষা এলাকা হতে পাথর নিয়ে আসলেও তা পরিবহনের জন্য শ্রীপুর কুয়ারী এলাকা থেকে বেশ খানিকটা দূরে পাথর ডাম্বিং করে পরিবহন করতো। কিন্তু বিগত ৭ বছরে যেখানে কুয়ারী এলাকায় গাড়ী পাথর পরিবহনের জন্য নামতে সাহস পেতো না সম্প্রীতি সময়ে অদৃশ্য শক্তির জোরে মূল কোয়ারী এলাকায় সরাসরি গাড়ী নেমে পাথর বালু বহনের প্রমান মিলেছে।
সেই সাথে নতুন এক সিন্ডিকেট চক্র তাদের পেশীশক্তিকে কাজে লাগিয়ে প্রশাসন ও বিজিবির নাম ভাঙিয়ে গাড়ী প্রতি নির্দিষ্ট অংকের টাকা উত্তোলনের অভিযোগও রয়েছে চক্রটির বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয় বরং উপজেলা প্রশাসন ও টাস্কফোর্সের বার বার অভিযান সত্ত্বেও জব্দকৃত পাথর ও বালু জোরপূর্বক মূল কোয়ারীতে গাড়ী নামিয়ে বিক্রির ঘটনাও ঘটছে।

গত বুধবার (১১ই ডিসেম্বর) সরজমিনে গিয়ে দেখা মিলে বাংলাদেশ ভারত সীমান্ত পিলার ১২৭৯ -৮০- ১২৮১ এর নিকটবর্তী এলাকা হইতে দিনেদুপুরে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে কয়েকশ শ্রমিক পাথর নিয়ে আসতে দেখা যায়। বিগত কয়েক বছর যাবত অনুরূপ নিয়মে রাতের আঁধারে পাথর নৌকাযোগে বহন করে মূল কোয়ারী এলাকা হতে অন্যত্র ফেলে লোডিং করলেও কয়েক সপ্তাহ সময় ধরে নতুন সিন্ডিকেট চক্র মূল কোয়ারী এলাকায় পাথর ফেলে কোয়ারী এলাকায় গাড়ী নামিয়ে বিক্রি করে আসছে।
এ সময় সাংবাদিক পরিচয় গোপন করে কিছু শ্রমিকদের সাথে আলাপ কালে নতুন সিন্ডিকেট চক্রের কয়েকজন সদস্যদের নাম তালিকায় উঠে আসে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক হেমার শ্রমিক জানান কয়েক সপ্তাহ যাবৎ কেন্দ্রী গ্রামে বাসিন্দা শামিম, গুচ্ছগ্রাম এলাকার সুমন মেম্বার,খারুবিল এলাকার নজির মিয়া ও ৪ নং বাংলা বাজার এলাকার দিলদার হোসেন এই চক্রের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। অভিযোগ রয়েছে নতুন করে কোন ব্যবসায়ী পাথর উত্তোলনের কাজে জড়িত হতে হলে ৫ হাজার টাকা প্রাথমিকভাবে চক্রটিকে দিতে হয়। আর প্রতি সপ্তাহে নির্দিষ্ট একটি টাকা বিভিন্ন মাধ্যমের নামে উত্তোলন করা হয়ে থাকে। আর এই টাকা উত্তোলনের দায়িত্ব সুমন মেম্বার ও জাকির হোসেন পালন করে থাকেন। এছাড়া এই চক্রের আরো সদস্যের মধ্যে নুর ইসলাম,আক্কাস আলি,বালফু সুমন ও মরমের নাম জড়িয়ে রয়েছে।
স্হানীয় সূত্রে জানা যায়, গত অক্টোবর মাসে জৈন্তাপুর উপজেলা প্রশাসন ও শ্রীপুর বিজিবি, মিনাটিলা বিজিবি যৌথ টাস্কফোর্সের অভিযানে প্রায় পনের হাজার ঘনফুট পাথর জব্দ করা হয়েছিলো। আর সেই জব্দ হওয়া পাথরগুলো স্হানীয় ইউপি সদস্যের জিম্মায় রাখা হয়েছিলো।
কিন্তু এই সিন্ডিকেট চক্রের পেশিশক্তির প্রভাবে জব্দকৃত পাথরগুলো অবাধে বিক্রি শুরু হয়। অবস্হাটা এমন যেন টাস্কফোর্সের অভিযান এলে কিছুক্ষণের জন্য সবাই সাধু বনে গেলো পরে অভিযান শেষ হলে তারা পুরনো রূপে ফিরে যায়।
এ বিষয়ে জৈন্তাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ফারজানা আক্তার লাবনী বলেন গত সপ্তাহের মাঝামাঝি কোয়ারীতে মজুদ করে রাখা পাথর ও বালু জব্দ করে তার চারপাশে লাল নিশানা স্হাপন করা হয়েছিলো। সেই সাথে উক্ত স্হানে কি পরিমান পাথর জব্দ করা হয়েছে তার একটি আনুমানিক হিসাব করে রাখা হয়েছিলো।
তিনি বলেন, শনিবার পুনরায় শ্রীপুর পাথর কোয়ারী এলাকায় গিয়ে সরাসরি বালু লোডিং এর প্রমান পায় প্রশাসন। পরে একটি মামলা সহ দুই গাড়ী বালু জব্দ ও জরিমানা আদায় করা হয়। তিনি বলেন জব্দকৃত পাথরগুলো প্রশাসন সরে যাবার পরে যারা বিক্রির সাথে জড়িত হবে তাদের বিরুদ্ধে তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান। সেই সাথে চলতি মাসের তৃতীয় কিংবা শেষ সপ্তাহে জব্দ করা পাথর নিলামের ব্যবস্হা করা হবে বলে তিনি জানান। তাছাড়া নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শ্রীপুর পাথর কোয়ারী এলাকায় যারা পাথর উত্তোলনের কাজে জড়িতের প্রমান পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। পাশাপাশি প্রশাসনের ও টাস্কফোর্সের অভিযান নিয়মিত পরিচালনা করা হবে বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।

Facebook Comments Box

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park
error: Content is protected !!