শেখ হাসিনা পদত্যাগের দিন গোয়াইনঘাটে আনন্দ মিছিলে হামলা ও গুলিতে নিহত যুবক সুমন মিয়া (২০) হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সিলেট-৪ সাবেক এমপি ও প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদসহ ৬৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে সিলেটের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালতে মামলাটি দায়ের করেন নিহতের বাবা আব্দুন নুর বিলাল। তিনি গোয়াইনঘাট উপজেলার মাতুরতল বাজার এলাকার ফেনাইকোনা গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার আবেদন আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্ট থানাকে এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছেন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালত।
মামলায় অন্য আসামিরা হলেন সোনার হাট বিজিবি ক্যাম্পের সাবেক হাবিলদার মিজান (৪০) বিজিবি সদস্য ভিআইপি শহিদ (৪০), বিজিবি সদস্য সিপাহি আল আমিন (৩৮), সিপাহি আতিক ও আফসার হোসেন, এ ছাড়াও উপজেলার বেনিয়াম, ৪০ শাকিলসহ ৬৫ জনকে নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়।
আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ সৌরভ, টাকার অভাবে চিকিৎসা হচ্ছে না
মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়, শেখ হাসিনা সরকার পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালানোর দিন বিকেলে আনন্দ মিছিল করতে বের হয় স্থানীয়রা। উপজেলার ২নং পশ্চিম জাফলংয়ের সোনার হাট বিজিবি ক্যাম্পের দক্ষিণ দিকে মাতুরতল বাজার গামী পাকা রাস্তায় আনন্দ মিছিল নিয়ে আসতেই হামলা চালায়। ক্যাম্পের সাবেক হাবিলদার মিজান ও ভিআইপি শহিদ, আল আমিন, আফসার হোসেন, অজ্ঞাত নামা ক্যাম্পের অন্যান্য সদস্যরা উপর্যুপরি গুলি বর্ষণ ও হাত বোমা নিক্ষেপ করতে থাকে। এ সময় গুলিতে নিহত সুমন মিয়ার বুকের বাম পাশে বিদীর্ণ হয়ে ও ছররা গুলিতে পুরো শরীর ঝাঁঝরা হয়ে যায়। পরে বাদী ও স্থানীয়রা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে পাঠায়। আত্মীয়রা তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সুমনকে মৃত ঘোষণা করেন। ভিআইপি শহিদ, সিপাহি আল আমিন, আতিকসহ অপরাপর বিজিবি সদস্যসহ সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীদের নিক্ষিপ্ত গুলিতে ঘটনাস্থলে আরো অন্তত ৪ জন ছাত্র শহিদ হন এবং শতাধিক আন্দোলনকারী গুলিবিদ্ধ হয়।
Leave a Reply