1. admin@jalalabadtims.com : admin :
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:১০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বড়লেখা সীমান্তে চা শ্রমিক গোপাল হত্যায় জামায়াতের নিন্দা সীমান্তে হত্যার বিচার না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে- বিএনপি নেতা সাজু বড়লেখার সীমান্তে পড়েছিল চা শ্রমিকের গুলিবিদ্ধ নিতর দেহ মহান বিজয় দিবসে ৩ নং পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন ছাত্রদলের শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ অনিয়মের সম্রাট হরলাল সরকার ” কোম্পানিগঞ্জ স্টেশনে ৬ বছর”  একই স্টেশনে হরলাল সরকার ৬ বছর” দুর্ণীতির টাকায় গড়েছেন অর্থের পাহাড় জৈন্তাপুরে শ্রীপুর কুয়ারীতে বার বার অভিযান সত্ত্বেও থামছে না বালু পাথর চুরি গোয়াইনঘাটে ছাত্রদল সভাপতি পরিচয়ে হাসানের বেপরোয়া চাঁদাবাজী জৈন্তাপুরে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস উপলক্ষে র‍্যালী ও আলোচনা সভা গোয়াইনঘাট ফতেপুর ইউনিয়ন জামায়াতের কমিটি গঠন “সভাপতি মিসবাহ সেক্রেটারি নজরুল

গোয়াইনঘাট ইট ভাটা নিয়ে নজিরবিহীন কেলেঙ্কারি”

গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ২৪ মার্চ, ২০২৪

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় মৌখিক ভাবে ইট ভাটা ভাড়া নিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসীর কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন জনৈক মাহবুবুর রহমান। এছাড়া আপন শালিকার ইট ভাটা দখলের পায়তারা করছেন বলে দাবি করছেন তার শালিকা সানজিদা রহমান। মহবুবুর রহমান আত্মগোপনে গিয়ে তার স্ত্রী হাসিনা মমতাজের মাধ্যমে একাধিক জিডি ও কোর্টে মামলা ছাড়াও বিভিন্ন মিডিয়ায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে ইট ভাটার মালিক ও ভাড়াটিয়ার বিরোদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। মাদারীপুর জেলার রাজৈব উপজেপার দক্ষিণ হোগলা গ্রামের শিপন খাঁনের স্ত্রী সানজিদা রহমান সংবাদ সম্মেলন করে আপন বড় বোনের জামাই ঢাকা, বনশ্রী ডি-ব্লক বাসা নং- ৯ এর বাসিন্দা মৃত ওয়াজের আলীর ছেলে মাহবুবুর রহমানের উপর এই অভিযোগ আনেন। তিনি রবিবার (২৪ মার্চ ) সকাল ১১টায় সংবাদ সম্মেলন করে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলাধীন নন্দিরগাঁও ইউনিয়নে তার মালিকানাধীন নওয়াগাঁও ব্রিক্সস ফিল্ড (এনবিএফ) কার্যালয়ে লিখিত বক্তব্যে জানান

আমার আপন বড় বোনের জামাই একজন বীমা কর্মী হিসেবে কাজ করতেন। তার প্রকৃত নাম শামসুল হক। তিনি ২০১৬ সালের দিকে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার নন্দিরগাওঁ ইউনিয়নের নন্দিরগাওঁ মৌজায় অবস্থিত জিয়াউল হক সাহেবের মালিকানাধীন ইট ভাটা টি মেসার্স বিসমিল্লাহ ব্রিকস ফিল্ড নামে পার্টনারশিপ ব্যবসা শুরু করেন। এসময় নানা কৌশল অবলম্বন করে আমার স্বামী শিপন খানকে উক্ত ফিল্ডে মৌখিক ভাবে পার্টনারশিপ দিয়ে ফুসলিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। এক পর্যায়ে ২০১৭ সালের ১লা জুলাই আমার বোনের জামাই জনাব মাহবুবুর রহমান জনাব জিয়াউল হকের কাছ থেকে অন্যান্য পার্টনার সরিয়ে একক ভাবে ফিল্ডটি ভাড়া নেন। যার চুক্তি মেয়াদ ছিল ০১/০৭/২০১৭ইং তারিখ হইতে ৩০/০৬/২০২১ইং পর্যন্ত এবং প্রতিষ্ঠানটির নাম দেন রুপালী ব্রিকস ফিল্ড, আমার স্বামী রুপালী ব্রিকস ফিল্ডে বিভিন্ন সময়ে যাতায়াত করতেন , ইতোমধ্যে ২০১৭ সালে আমি গোয়াইনঘাট উপজেলার নন্দিরগাওঁ ইউনিয়নের নওয়াগাওঁ মৌজায় সালুটিকর – গোয়াইনঘাট সড়কের সন্নিকটে জে,এল, নং-১৫৭, বি,এস, খতিয়ান নং- ৫১১, বি,এস, দাগ নং- ২৬৯, যাহাতে ২.২৫ একর আছরা রকম ভূমি রেজিস্ট্রি দলিল মূলে ক্রয় সূত্রে মালিক হইয়া সরজমিন ভোগ দখলে থাকিয়া নিজ নামে পৃথক খতিয়ান অবস্থায় সন সন খাজনা দিয়া একক ব্যয়ে ইট ভাটা নির্মাণ করিয়া থাকি।

মাহবুবুর রহমান ওরফে শামছুক হক ও আমার স্বামী তাহাদের ১ম ব্যবসাটি ২০১৬ সালে নন্দিরগাঁও এ সিলেটস্থ জিয়াউল হকের নিকট হইতে ভাড়া নিয়া “ইটভাটার” ব্যবসা শুরু করেন। ইট ভাটার মালামাল ক্রয় করার জন্য মাহবুবুর রহমান আমার স্বামীর নিকট হইতে গত ১০/০২/২০১৬ইং তারিখে নগদ ২৮,৫০,০০০/- (আটাশ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে আরও বিভিন্ন তারিখে কাজ করানোর কথা বলে ৭৮,০০,০০০/-(আটাত্তর লক্ষ) টাকা সহ মোট ১,০৬,৫০,০০০/-(এক কোটি ছয় লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা নিয়াছেন। কিন্তু জনাব মাহবুবুর রহমান অনুরূপ ভাবে ১,০৬,৫০,০০০/- (এক কোটি ছয় লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা বিনিয়োগ করার কথা থাকলেও তিনি মাত্র ২৯,৮৫,০০০/-(উনত্রিশ লক্ষ পঁচাশি হাজার) টাকা ব্যবসায় পুঁজি প্রদান করিয়াছেন। ইট ভাটার প্রয়োজনে মাহবুবুর রহমান নিজে আমার নিজ প্রতিষ্ঠান তানিশা ইঞ্জিনিয়ারিং অফিসে গিয়া প্রতিষ্ঠান হইতে ১০/০১/২০১৮ইং তারিখে ৩৫,০০,০০০/-(পয়ত্রিশ লক্ষ) টাকা ঋণ হিসাবে আনিয়াছেন। ২০১৬ সালে ব্যবসা শুরুর পর আমার স্বামীকে মাহবুবুর রহমান ২৪,৩০,০০০/-(চব্বিশ লক্ষ ত্রিশ হাজার) টাকা প্রদান করেন এবং মাহবুবুর রহমান ৭৭,৮০,০০০/- (সাতাত্তর লক্ষ আশি হাজার) টাকা অর্থাৎ অতিরিক্ত ৫৩,৫০,০০০/- (তিপান্ন লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা বেশী উত্তোলন করে নিয়া যান।

২০১৯ সালে আমার বড় বোন মাহবুবুর রহমানের প্রথম স্ত্রী মারা গেলে আমরা আমাদের হিসাব বুঝাই দিয়ে আমাদেরকে ব্যাবসা থেকে অব্যাহতি দিতে বলি। তিনি আমাদেরকে পুনরায় ব্যাবসা সম্প্রসারণের কথা বলে আমাদেরকে আরও বিনিয়োগ কারি খুজতে বলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমার সামী তার বড় ভাইর নিকট থেকে ৩৩,২৭,০০০(তেত্রিশ লক্ষ সাতাইশ হাজার টাকা ) এবং হারুন নামে এক বন্ধুর নিকট থেকে ৫০,০০,০০০ (পঞ্চাশ লক্ষ টাকা) টাকা বিনিয়োগ করেন।
এছাড়াও আমাকে ইমোশনাল ব্লাক মেইল করে আমার নিজ নামীয় নন্দীর গাও মৌজার ১৩ বিঘা জমি বিক্রি করে নতুন ভাটায় ২১০০০০০ ও পুরান ভাটায় ১৯৩৬০০০ মোট ৪০,৩৬,০০০ (চল্লিশ লক্ষ ছত্রিশ হাজার টাকা) বিনিয়োগ হিসেবে নেন। উপরোক্ত সব হিসাব ইট ভাটার মুল হিসাব বহিতে উল্লেখ আছে৷
আমার স্বামীর পেশাগত প্রয়োজনে আমরা ঢাকায় থাকি। মাহবুবুর রহমান আমার নিজ নামীয় মালিকানাধীন ভূমিতে আমার নিজস্ব অর্থায়নে ইট ভাটা পরিচালনা করার জন্য আমাকে বার্ষিক ১৫ লক্ষ টাকা ভাড়া প্রদান করবেন মর্মে কথাবার্তা সাব্যস্থ করেন। আমার স্বামী এবং মাহবুবুর রহমানের মধ্যে গত ১১/০২/২০২১ইং তারিখে উভয়ের স্বাক্ষরে লেনদেন সহ হিসাব নিকাশ সংক্রান্তে চুক্তিনামা সম্পাদন হয়েছে। আমরা দূরবর্তী থাকি এই কারণে সব সময় এখানে আসা ও দেখভাল সম্ভব না হওয়ায় অত্র মাহবুবুর রহমান ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী হাসিনা মমতাজ সিলেট শহরের বাসায় থাকিয়া তাহারা ইট ভাটা এলাকার লোকজনের নিকট হইতে ইট ব্যবসায় ভালো লাভ আছে, কাঁচা ইটে খরচ ৭/৮ টাকা এবং প্রতি ইট বিক্রিতে ২/- টাকা লাভ হবে বলিয়া এলাকার বিভিন্ন মানুষের নিকট হইতে প্রায় ৫ কোটি টাকা গ্রহণ করেন এবং মাহবুবুর রহমান ও হাসিনা মমতাজ সরজমিনে ইট প্রস্তুত করে ২০১৯ইং হইতে ২০২১ইং পর্যন্ত সময়ে পাওনাদার কাউকে কোনো টাকা কিংবা ইট না দিয়া ১০কোটি টাকার ইট বিক্রি করে সমূহ টাকা তাঁরা আত্মসাত করে মাহবুবুর রহমান গা ঢাকা দেন। স্থানীয় ইট ভাটা এলাকার লোকজন পাওনা টাকার জন্য বার বার তাদের সাথে যোগাযোগ করে ব্যর্থ হইলে তাহারা আত্মগোপনে থাকায় পাওনাদারগণ অনন্যোপায় হইয়া আমি ইট ভাটার ভূমির মালিক থাকার সুবাদে এবং মাহবুবুর রহমান ব্যবসায়ী অংশীদার আমার স্বামী শিপন খানের নিকট পাওনাদারগণ আসেন।আমরা সরেজমিনে নওয়াগাওঁ ব্রিকস ফিল্ডে গেলে সকল পাওনাদার হাজির হইয়া স্থানীয় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম চৌধুরী,নন্দীরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস কামরুল হাসান আমিরুল সহ উপস্থিত সকলের সামনে পাওনাদারগণ বলেন- মাহবুবুর রহমান ও তাহার স্ত্রী হাসিনা মমতাজের নিকট তাহারা লাভের আশায় প্রায় ৫কোটি টাকা দিয়াছিলেন। কিন্তু উক্ত টাকা কিংবা ইট না দিয়া তারা টাকা আত্মসাত করেছেন। তাহারা পাওনাদারদের কথা শুনি। মাহবুবুর রহমানকে তাদের সামনে নেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হই। পরবর্তীতে আমি আমার নিজ মালিকানাধীন ভূমিটি জনৈক নাসির উদ্দিনকে ০১/০৬/২০২৩ ইং হইতে ৩০/০৬/২০২৯ইং পর্যন্ত ভাড়া প্রদান করি। নাসির উদ্দিন তাহার অন্য লোক নিয়া নোয়াগাঁও ব্রিক্স ফিল্ড নামে ইট ভাটা পরিচালনার চেষ্টা করিয়া মাহবুবুর রহমানের পাওনাদারেদের বাধার মুখে পরায় আমি আমার স্বামী শিপন খানের সাথে পরামর্শ করে পরবর্তীতে গত ১১/০৭/২০২৩ইং হইতে ৩০/০৬/২০২৯ইং পর্যন্ত সময়ের জন্য ইট ভাটা পরিচালনার জন্য এস কামরুল হাসান আমিরুলের সাথে এক ভাড়াটিয়া চুক্তি নামা সম্পাদন করে তাহাকে দখল বুঝিয়ে দেওয়া হয়। তিনি ব্যবসা পরিচালনার স্বার্থে “বিদ্যুৎ বিল” সহ সকল বিল পরিশোধ করে “নোয়াগাঁও ব্রিক্স ফিল্ড” নামে অফিস স্থাপন করে মাহবুবুর রহমানের নিকট যাহারা পাওনাদার ছিলেন তাহাদের ৫ কোটি টাকা দেনা ক্রমান্বয়ে শোধ করিয়া আসিতেছেন। এ অবস্থায় আত্মগোপনে থাকা মাহবুবুর রহমান তাহার স্ত্রী হাসিনা মমতাজের মাধ্যমে দিয়া মাহবুবুর রহমানের পক্ষে “সিলেট পরিবেশ অধিদপ্তরে” নোয়াগাঁও ব্রিক্স ফিল্ড নামীয় ইট ভাটার অনুকূলে জারি কৃত পরিবেশ গত ছাড়পত্র বাতিলের জন্য জাল জালিয়াতিপূর্ণ ভাবে সৃষ্ট আমার নামীয় একখানা জাল চুক্তিনামা দাখিল করে মিথ্যা তথ্য দিয়া ১৩/১২/২০২৩ইং তারিখে পরিবেশ অধিদপ্তরে মিথ্যা বর্ণনায় একখানা আবেদন করেন আমি উহা দেখে তথ্য সংগ্রহ করে তাদের সমূহ তথ্য মিথ্যা মর্মে নিশ্চিত হই। আমার স্বাক্ষর জাল করে। আমাদের ক্ষতিগ্রস্থতার বিষয়ে সালিশ নিষ্পত্তির আশায় আমি উদ্যোগী হইলে মাহবুবুর রহমান ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী হাসিনা মমতাজ সাথে যোগাযোগ করে স্থানীয় ইট ভাটায় গত ৩০/০১/২০২৪ইং তারিখে এক সালিশ বসে। সেখানে অত্র ১নং মাহবুবুর রহমানের নিকট আমার জমির ভাড়া বাবদ পাওনা বার্ষিক ১৫ লক্ষ টাকা করে (২০১৯- ২০২১) অর্থাৎ ৩বৎসরে ৪৫ লক্ষ টাকা এবং আমার স্বামীর পাওনা ১ কোটি ৯৫ লক্ষ টাকা , আমার সামীর বড় ভাইর পাওনা তেত্রিশ লক্ষ সাতাইশ হাজার টাকা, বন্ধু হারুনের পাওনা ৫০,০০,০০০ (পঞ্চাশ লক্ষ টাকা) ও আমার পাওনা মোট ৪০,৩৬,০০০ (চল্লিশ লক্ষ ছত্রিশ হাজার টাকা ) দাবী উত্থাপন করিলে স্থানীয় ভাবে সালিশের সম্মুখে ঐ দিন আমি সানজিদা রহমানের জাল স্বাক্ষরিত একখানা চুক্তিপত্র যাহা ১০০/-টাকার নন জুডিসিয়াল ৩টি স্ট্যাম্পে জাল ভাবে স্বাক্ষরিত অবস্থায় প্রদর্শন করেন। উক্ত জাল চুক্তিনামাটি জালিয়াতি পূর্ণ ভাবে সৃষ্ট। উক্ত জাল চুক্তিনামাকে জাল জানিয়া খাটি হিসাবে তাহারা প্রদর্শন করেন।
এমতাবস্থায় আমরা সালিশগণ সম্মুখে আমাদের পাওনা টাকা দাবী করিলে তারা সমূহ লেনদেন অস্বীকার করেছে এবং আমাদেরকে গালি গালাজ করে আমাকে ও আমার স্বামীকে খুন করার হুমকি দেয়। আমাদের আত্মীয়তার সুযোগ নিয়া বিশ্বাস জন্মাইয়া অপরাধ মূলক বিশ্বাস ভঙ্গ করে আমাদের টাকা আত্মসাত করায় আমি এবং আমার স্বামী আমাদের নিকটজনদের সাথে পরামর্শ করে সিলেট জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-১০(গোয়াইনঘাট) মাহবুবুর রহমান (৫৫), পিতা- মৃত ওয়াজেদ আলী, সাং- বাসা নং- ৯, ব্লক- ডি, বনশ্রী, ঢাকা, ২) হাসিনা মমতাজ (৪৫), স্বামী- মাহবুবুর রহমান, সাং- বাসা নং-৫, চৌধুরী ভিলা, কাজিটুলা, থানা- কোতয়ালী, জেলা- সিলেট। স্থায়ী ঠিকানাঃ বাসা নং- ২. হাউজিং এস্টেট আলীঙ্গাপুর, জেলা, খুলনা দের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করি। যাহার নং গোয়াইনঘাট সি.আর. মামলা নং- ৭১/২০২৪ খ্রিঃ। আমাদের সরলতার সুযোগে আমাদের প্রায় ৩. ৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে হাসিনা মমতাজ (৪৫), স্বামী-মাহবুবুর রহমান সাং-বাসা নং-৫, চৌধুরী ভিলা, কাজীটুলা, থানা-কোতোয়ালী, জেলা-সিলেট। তথ্য গোপন করে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে মাননীয় জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্র্যাট ৪ নং আমলী আদালত সিলেটে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। যাঁহার নং
গোয়াইনঘাট সিআর মামলা নং ৩৭ তারিখ ২০২৪ ইংরেজি। এই মামলায় বাদিনী সেসকল ডকুমেন্টস জমা দিয়েছেন সেই ডকুমেন্টসে মাননীয় নোটারী পাবলিক সিলেট বাংলাদেশের মাধ্যমে
সম্পাদিত যৌথ অংশীদার ব্যবসয়াীক দলিলে ৯(ক) নিজ নিজ মুলধন বিনিয়োগের হিসাবে মাহবুবুর রহমানের নিকট আমার স্বামী শিপন খানের ১.৯৫ কোটি টাকা পাবেন বলে সুস্পষ্ট প্রমান রয়েছে।
তাদের দায়েরকৃত মিথ্যা মামলায় উল্লেখ করেছেন যে মাহবুবুর রহমান দুই মাস ভাটায় আসেন নি, যাহা সত্য নহে তার প্রমান ২০২১ সালের ২,৩,৪ ও ৫ মারচ এর দৈনিক জমা খরচের খাতায় নিজ হস্তে লিখিত হিসাব যা সব সময় ইট ভাটায় রক্ষিত থাকে। অথচ তারা মামলায় উল্লেখ করেছেন তিনি ফেব্রুয়ারী মাস থেকে দুই মাস খোলায় যান নি।
নন্দিরগাঁও মৌজায় অবস্থিত জিয়াইল হক সাহেবর ব্রিকস ফিল্ড ২০১৭ ইংরেজি হইতে ২০২১ সাল মেয়াদে ভাড়া নিয়া রুপালী ব্রিকস ফিল্ড নাম করণ করে ব্যবসায় পরিচালনা করেন আমার নওয়াগাঁও মৌজায় করা ইট ভাড়া ও একই নামে ও কাগজে চলবে বলিয়া দুলাভাই মাহবুবর রহমান আমাদের সাথে প্রতারণা করিয়া আমার নাম স্বাক্ষর জাল করিয়া চুক্তিনামা তৈরি করে বেআইনি ভাবে অবৈধ মালিক দাবি করছেন। মাহবুবুর রহমান ও হাসিনা মমতাজ ইটভাটা সংলগ্ন এলাকাবাসীর প্রায় ৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে তারা শান্ত হয়নি। ইট ভাটার ভাড়ার টাকা দিয়ে যখন এলাকাবাসীর ঋন পরিশোধ করার ক্ষুদ্র প্রয়াস চলমান, তখন তারা বিভিন্ন দপ্তরে আমি ও আমার স্বামী শিপন খান এবং আমার ব্রিকস ফিল্ডের ভাড়াটিয়া এস কামরুল হাসানের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে নানা অভিযোগ করে চলেছে। এছাড়াও সিলেট প্রেসক্লাব,সিলেট জেলা প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টাল, প্রিন্ট ভার্সন ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় আমি সানজিদা রহমান, আমার স্বামী শিপন খান এবং আমার মালিকানাধীন নওয়াগাওঁ ব্রিকস ফিল্ডের ভাড়াটিয়া এস কামরুল হাসান আমিরুলের বিরুদ্ধে মানহানিকর অপ-প্রচার চালাচ্ছে। মাহবুবুর রহমান ও হাসিনা মমতাজ মিথ্যা তথ্য দিয়ে মানহানিকর অপ-প্রচারের জন্য আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নিচ্ছি।

আমার ইট ভাটা এলাকার নওয়াগাঁও মৌজার জনসাধরণের নিকট থেকে মাহবুবুর রহমান লোভ দেখিয়ে ঋণের সিংহভাগ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এজন্য এই গ্রামের লোকের প্রতিবাদের কারণে বাহিরের লোকদেরকে আমার ইট ভাটা ভাড়া দেওয়ার চেষ্ঠা করেও ব্যর্থ হই। ২০২২ সালে থেকে ইট ভাটাটি বন্ধ ছিল এতে আমরা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছিলাম নওয়াগাঁও গ্রামের নাছির উদ্দিনকে ভাড়া দিলে তিনিও পাওনাদারের দাবি মিটাতে না পারায় ইট ভাটা পরিচালনা করতে ব্যার্থ হন। অবশেষে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহোদয়ের বাড়ি আমার ইট ভাটা সংলগ্ন গ্রামে থাকায় আমার স্বামী শিপন খাঁন, নাছির উদ্দিন ও আমি একসাথে বসে বহুঅনুরোধ করে ইট ভাটা ভাড়া নিতে চেয়ারম্যান মহোদয়কে রাজি করি। এসময় স্থানীয় চেয়ারম্যান মহোদয় বলেন ইট ভাটা চালু হলে সকলের ঋণ পরিশোধের উপায় তৈরি হবে। ইটা ভাটা বন্ধ থাকলে কোন পাওনাদারের টাকা পরিশোধের সুযোগ হবে না। উপস্থিত সকলের সম্মতিতে পর্যায় ক্রমে সভার ঋণ পরিশোধের জন্য চেয়ারম্যান মহোদয়কে দায়িত্ব দেওয়া হয়। সে বিশ্বাসে ২০২৩ সালে ইট ভাটা চালুসহ ঋণ পরিশোধ চলমান আছে। ২০২২ সালে সিলেটের স্বরণকালে ভয়াবহ বন্যায় আমার ইট ভাটার গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়ীক সরঞ্জামাধি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ করে এবং অধিকাংশ মালামাল পানিতে ভেসে যায়। এক্ষেত্রে চেয়ারম্যানসহ তিনির সাথে ব্যবসায়ী পাটনারগণ বিশাল ব্যয় করে ইট ভাটা কার্যক্রম শুরু করেন। বর্তমানে ইট ভাটাটি চালু থাকায় পলাতক মাহবুবুর রহমান তার স্ত্রী হাসিনা মমতাজের মাধমে অসৎ উদ্দেশ্য চলিতার্থ করা ভিবিন্ন ষড়জন্ত্র শুরু করেন আমি ও আমার স্বামীর পাশাপাশি একজন নিরঅপরাধ সম্মানিত ব্যক্তি ইউনিয়ন পরিষরেদ বার বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান এস কামরুল হাসান আমিরুলের এর বিরোদ্ধে একাধিক জিডি, মিথ্যা মামলাসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি মান সম্মান নষ্ঠ করেছেন আমি উহার তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমার ভাড়া দেওয়া বৈধ পক্ষেকে বেআইনি হয়রানির জন্য সিলেট পরিবেশ অধিদপ্তরে জাল কাগজাদি দিয়ে মাহবুবুর রহমানের পক্ষে হাসিনা মমতাজ বেআইনি এক আদেশ করিলে আমি মহামান্য হাইকোট বিভাগে মামলার স্থগিতাদেশ নিয়ে বৈধ উপায়ে নওয়াগাঁও ব্রিকস ফিল্ড বর্তমানে চলমান আছে।
পরিশেষে সাংবাদিক ভাইদের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও প্রশাসনের নিকট আমার আকুল আবেদন, এই প্রতারক মাহবুবুর রহমান তথা শামছুল হকের দৃস্টান্তমুলক বিচার দাবি করছি যাতে আমাদের মত আর কাউকে যেনো আর প্রতারণার ফাদে ফেলতে না পারে।

Facebook Comments Box

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park
error: Content is protected !!