1. admin@jalalabadtims.com : admin :
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৪৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বড়লেখা সীমান্তে চা শ্রমিক গোপাল হত্যায় জামায়াতের নিন্দা সীমান্তে হত্যার বিচার না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে- বিএনপি নেতা সাজু বড়লেখার সীমান্তে পড়েছিল চা শ্রমিকের গুলিবিদ্ধ নিতর দেহ মহান বিজয় দিবসে ৩ নং পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন ছাত্রদলের শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ অনিয়মের সম্রাট হরলাল সরকার ” কোম্পানিগঞ্জ স্টেশনে ৬ বছর”  একই স্টেশনে হরলাল সরকার ৬ বছর” দুর্ণীতির টাকায় গড়েছেন অর্থের পাহাড় জৈন্তাপুরে শ্রীপুর কুয়ারীতে বার বার অভিযান সত্ত্বেও থামছে না বালু পাথর চুরি গোয়াইনঘাটে ছাত্রদল সভাপতি পরিচয়ে হাসানের বেপরোয়া চাঁদাবাজী জৈন্তাপুরে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস উপলক্ষে র‍্যালী ও আলোচনা সভা গোয়াইনঘাট ফতেপুর ইউনিয়ন জামায়াতের কমিটি গঠন “সভাপতি মিসবাহ সেক্রেটারি নজরুল

গোয়াইনঘাট সাব-রেজিস্ট্রি অফিস: ঘুষ দুর্নীতির মধুর হাড়ি

রিয়াজুল ইসলাম
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

গোয়াইনঘাট সাব-রেজিস্ট্রি অফিস: ঘুষ দুর্নীতির মধুর হাড়ি। এখানে যে কোনো কাজ করাতে হলে আগে টাকা গুনতে হয়। টাকা দিলে রাতেও দলিল হয়।
অফিসে কোন পদ পদবী না থাকলেও সাব-রেজিস্টার এর মনোনীত সবুজ আহমদ (৩০) নামের স্থানীয় এক ব্যাক্তির নেতৃত্বে দালাল চক্রের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন এই অফিসে সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ।

উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার মাসুদ পারভেজ এর ছত্রছায়ায় নিজের মনগড়া নিয়োগকৃত সবুজ আহমেদ, মহরার আব্দুল মালিক এর বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতি ও নানা অনিয়ম করে লাখ লাখ টাকার মালিক হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তাদেরকে‘খুশি’ না করে এ অফিসে কোনো কাজই করা সম্ভব হয় না।
গোয়াইন গ্রামের বশির উদ্দিন এর ছেলে সবুজ আহমদ। তিনি ২০২০ সালে গোয়াইনঘাট সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে অস্থায়ী কর্মচারী হিসাবে যোগ দেন। যোগদানের পর থেকেই শুরু হয় সবুজ সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম।

সাব-রেজিস্টার মাসুদ পারভেজ এর ভয়ে মুখ খুলতে চায়না অফিসে কর্মরত কেউই। কয়েকজন দলিল লেখক নাম প্রকাশ না করার শর্তে ‘ প্রতিবেদককে জানান, প্রতিটি দলিলের ক্ষেত্রে দাখিলা বাবত ৭ শত টাকা, এক লক্ষ টাকা মুল্যের দলীলে ১ হাজার টাকা, ৫০ লক্ষ টাকা মূল্যের দলীলে ৫০ হাজার টাকা, খরিদদার অনুপস্থিত থাকিলে ৫শত টাকা, প্রতি শতক বাড়ীর জমিতে ১ হাজার টাকা, প্রতি শতক (আবাসিক) জমিতে ১ হাজার টাকা, বিকেল ৩টার পর দলীল প্রতি ১ হাজার টাকা, প্রতি দলীলে কমিশন বাবত ২০-৩০ হাজার টাকা দিতে হয়। সাব-রেজিস্ট্রার মাসুদ পারভেজ এর যোগসাজেশে এসব টাকা উত্তোলন করেন সবুজ আহমদ, মহরার আব্দুল মালিক চক্র।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার পুর্ব আলীরগাঁও ইউনিয়নের বাসিন্দা সিরাজ উদ্দিন এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,  গত ৭ ফেব্রুয়ারি তিনি গোয়াইনঘাট এস.আর অফিসে দলিল দাতা হিসাবে উপস্থিত হলে তার পিতার নাম জাতীয় পরিচয়পত্রে আব্দুল আজিজ এবং জমির পর্চায় আব্দুল ওয়াজিদ হওয়ায় দলিল আটকানো হয়। পরে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের প্রত্যয়ন জমা দিলে দলিল লেখক জহুরুল ইসলাম বলেন, ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা সাব-রেজিষ্টারকে না দিলে দলিল হবে না। পরে সাব-রেজিষ্টারের মনোনিত অফিসের কোন পদে নয় এমন ব্যক্তি সবুজ আহমদ এর মাধ্যমে ৩ হাজার টাকা দিলে দলিল নিবন্ধন হয়। তিনি বলেন সাবরেজিস্টার  এখানে যোগদানের পরই অযথা লেইট ফিঃ দলিল প্রতি ২/৩ হাজার টাকা আদায় করেন। তিনি এভাবে অনেক দলিলে জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম ও পর্চার নামে অমিলের কারণে প্রতি দলিলে ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা নেন। তিনি আরও বলেন, গোয়াইনঘাট সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের সবুজ আহমদ সিন্ডিকেট এর কাছে নগদ টাকা দেওয়া ছাড়া কোনো দলিল বা কাজই হয় না। দলিল প্রতি তাকে ১ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা দিতে হয়।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সবুজ আহমদ বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তা ঠিক নয়।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সাব-রেজিস্টার মাসুদ পারভেজ নিজেকে নির্দোষ দাবী করে বলেন, আমার অফিসে কেউ দুর্নীতি করলে আমাকে লিখিতভাবে জানালে আমি ব্যবস্থা নেব।

 

Facebook Comments Box

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park
error: Content is protected !!