প্রকৃতি কন্যা ও খনিজ সম্পদ সমৃদ্ধ সিলেট-৪ জৈন্তাপুর-গোয়াইনঘাট ও কোম্পানিগঞ্জ উপজেলায় জমে ওঠেনি নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ গ্রহন না করায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান এমপি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ (নৌকা) ছাড়া মাঠে দেখা মেলেনি প্রতিযোগী প্রাথীদের। গত সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) প্রতীক বরাদ্দ দেয়ার ৫ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর থেকে এখনো পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ছাড়া ইসলামী ঐক্যজোট, তৃণমূল বিএনপির প্রার্থীদের প্রচারণা ও তাঁদের অনুসারীদের তৎপরতা চোখে পড়েনি। তিন উপজেলায় সাঁটানো ব্যানার ও পোস্টারের সবই আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান এমপি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ (নৌকা) এর পক্ষে তুলনামোলক কম হচ্ছে গণসংযোগ কিংবা প্রচারণা। হচ্ছে না কোন প্রার্থীর মাইকিং। সাধারণ ভোটারা জানেন না সিলেট-৪ আসনে কোন দলের প্রার্থী কয়জন। ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী কিংবা তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী কে?
শনিবার সরজমিন সিলেট-৪ জৈন্তাপুর ও গোয়াইনঘাট উপজেলায় সবকটি ইউনিয়ন ঘুরে কোথাও কোনো প্রার্থীর প্রচারণা লক্ষ্য করা যায়নি। নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের মধ্যেও তেমন কোনও আগ্রহ নেই। জমছে না চায়ের আড্ডাও। ভোটে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের জন্য অনেকটা খালি মাঠ। নির্বাচনে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর অধিকাংশই অংশ না নেওয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভোটাররা। এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান এমপি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ ছাড়া আর কোনো উল্লেখ যোগ্য প্রার্থী নেই। তাই তিনি ছাড়া আর যারা প্রার্থী আছেন তারা হলেন- ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী মো. নাজিম উদ্দিন (কামরান) পেয়েছেন দলীয় প্রতীক (মিনার) এবং আপিলে ফেরা তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী মো. আবুল হোসেন পেয়েছেন (সোনালী আঁশ)। মন্ত্রী ইমরান আহমদ ছাড়া আর কোনো উল্লেখ যোগ্য প্রার্থী না থাকায় গত ৫ দিনেও নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো প্রার্থীর প্রচার-প্রচারণা পোস্টারিং মাইকং নেই। ফলে এই আসনে নির্বাচনের কোনো ইমেজই লক্ষ্য করা যাচ্ছে না বলে সাধারণ মানুষের অভিযোগ।
ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের বাইরে এই আসনে শক্ত অবস্থান রয়েছে বিএনপি এবং অন্যান্য দলগুলোর। এসব দল নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে মনে করছেন ভোটাররা। ভোটারদের নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ কম থাকায় তাঁদের কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়াও কঠিন হবে বলেও অভিমত অনেক ভোটারের। অন্যদিকে অন্য দলগুলো শুধু প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে। নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছে তাদের একজনকেও চিনি না। কোনোদিন এলাকায়ও তাদেরকে আসতে দেখিনি। এই প্রথম তাদের নাম আপনার কাছ থেকে শুনেছি।
জৈন্তাপুর উপজেলার ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে না এলেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাপ মিয়া থাকলে নির্বাচন কিছুটা জমত। এখন মানুষ ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে যাবেন কি না, সন্দেহ রয়েছে।
তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী মো. আবুল হোসেন এর পক্ষে কোনো প্রচারণা পোস্টারিং না থাকার ব্যাপারে শনিবার দুপুরে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি স্বীকার করে বলেন, পোস্টার ছাপা হয়েছে, ইনশা আল্লাহ লাগানো হবে। জৈন্তাপুর ও গোয়াইনঘাটে প্রচার-প্রচারণা হয় নি। আজ গোয়াইনঘাটে যাচ্ছি প্রচারনা করবো।
রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সংসদীয় এই আসনে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্ধতা করছেন। ছয়বারের সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইমরান আহমদের সঙ্গে মিনার প্রতীক নিয়ে লড়বেন ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী মো. নাজিম উদ্দিন (কামরান) ও সোনালী আঁশ প্রতীক নিয়ে লড়বেন তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী মো. আবুল হোসেন। আসনটিতে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৭৫ হাজার ১২১ জন। ভোটকেন্দ্র রয়েছে ১৬৯ টি।
Leave a Reply