সিলেটের গোয়াইনঘাট থানাপুলিশ কর্তৃক চোরাচালান প্রতিরোধে জিরো টলারেন্স ঘোষণার উপর বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করে সীমান্ত চোরাচালান আমদানি ও পাচার করে আসছে দুই দরবেশ।
দীর্ঘদিন থেকে গোয়াইনঘাট উপজেলার পশ্চিম জাফলং ইউনিয়ন পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন ও ১১নং মধ্য জাফলং ইউনিয়নের পান্তুুমাই সোনারহাট,বাবুর কোনা সিঁড়িরঘাট,হাজিপুর লামাপুঞ্জি,প্রতাপপুর বিজিবি ক্যম্প,লক্ষণ ছড়া,ঢালারপার, নকশিয়া পুঞ্জি,কাটারি, সংগ্রাম পুঞ্জি, এসব এলাকা সীমান্তের চোরাইপথে আসা ভারতীয় পণ্য, গরু মহিষ,পান সুপারি,,বিভিন্ন ব্রান্ডের মোটরসাইকেল, মাদক ব্যান্ড,বিভিন্ন ব্রান্ডের স্মার্ট ফোন,বিপুল পরিমাণ চিনি, কসমেটিকস্ নাসির উদ্দীন বিড়ি চা পাতা সহ্ চোরাইপথে আসা ভারতীয় সকল পণ্যের উপর পুলিশের নামে দৈনিক লক্ষ লক্ষ টাকা আদায় করে ঐসকল পণ্য রাতের গভীরে নিরাপত্তা মহড়ায় পাচার করে আসছে পুলিশের লাইনম্যান নামে পরিচিত মানিক মিয়া(৪৫) উজ্জ্বল মিয়া(৩৫) সহ একটি চোরাচালান পাচারকারী দরবেশ চক্র।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়,দীর্ঘদিন থেকে ১১নং মধ্য জাফলং ইউনিয়নের বাউরভাগ গ্রামের মানিক মিয়া উজ্জ্বল মিয়া ও বাড়িতে থেকে পুলিশের লাইন নিয়ন্ত্রক করেন রাতের আধারে বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে আসা চিনি,মাদক,কসমেটিকস, গরু মহিষ,মোটরসাইকেল ,অগ্নিয়াস্ত্র উপজেলার ১১নং মধ্য জাফলং ইউনিয়নের রাধানগর বাজারের আশপাশে মজুদ রেখে রাত ৪টা বা ভোর ৫ টা হলেই পিকআপ অথবা নৌ পথে পাচার করে আসছেন। গোয়াইনঘাট থানাপুলিশ সীমান্ত চোরাচালান প্রতিরোধে জিরো টলারেন্স ঘোষণার পরও থেমে নেই এই দুই দরবেশের চোরাচালান পাচারের অপকৌশল।
উপজেলার মধ্য জাফলং, পূর্ব জাফলং ও সদর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে সন্ধ্যা নামতেই তৎপর হয়ে ওঠে কয়েকটি পক্ষ। সুযোগ বুঝে ‘লাইনম্যান’ মুঠোফোনে সংকেত দেন ‘লাইন ক্লিয়ার’। এরপর সীমান্তের দিকে এগোতে থাকেন চোরাকারবারিরা। রাতে অবৈধ চোরাচালানের নিরাপদ রোড হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে গোয়াইনঘাট উপজেলার বাইবাস রোড।
অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় থানা পুলিশসহ একাধিক আইনশৃংখলা বাহিনী জড়িত রয়েছে এসব চোরাচালানের সাথে। তাদের প্রত্যকের নিজস্ব লোক রয়েছে চোরাচালান কারবারিদের কাছ থেকে টাকা উত্তোলন করার জন্য। তবে পণ্য বেধে টাকার পরিমানও ভিন্ন। বিভিন্ন হারে ভাগ-বাটোয়ারা হয় লাইনম্যান ও সোর্সদের মাধ্যমে। বাদ পড়েন না স্থানীয় কতিপয় সাংবাদিকরাও। সময়ে সময়ে চোরাচালানের কৌশল বদল করা হয়। দিন বা রাত নেই যে কোন সময়ে সুযোগমতো শহরে প্রবেশ করে ভারতীয় হরেক রকম পণ্যের চালান ও গরু-মহিষ ভর্তি ট্রাক।
অভিযোগে প্রকাশ এসকল চোরাকারবারীদের কাছ থেকে নিয়মিত পুলিশের নামে টাকা আদায় করেন যে সকল লাইনম্যান তারা হলেন, উজ্জ্বল ও মানিক লাইনে মধ্য জাফলংয়ের লাইনের দায়িত্বে রয়েছেন, তারা স্থানীয় রাধানগর বাজার এলাকায় দাঁড়িয়ে চোরাকারবারীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করেন। এছাড়া মধ্য জাফলং ও পূর্ব জাফলংয়ে রয়েছেন মোস্তফাও সামসু আর তার রয়েছে একাধিক বাহিনী সে সকলেরই গডফাঁদার।
সীমান্তের স্থানীয়রা কিন্তু থানা পুলিশের ভূমিকা রহস্যজনক বলে দাবি করছেন এলাকার সচেতন মহল।
গোয়াইনঘাট থানার পুলিশের এই অবৈধ আয়ের হাতিয়ার ও জড়িত অসাধু ঘোষখোঁর পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট আশু হস্থক্ষেপ কামনা করেন স্থানীয়রা।
Leave a Reply