বিএসএফ একের পর এক সীমান্তে নিরীহ বাংলাদেশি নাগরিকদের গুলি করে হত্যা করেছে। গত আগস্টে তারা স্কুলছাত্রী স্বর্ণা দাসকে পাখির মত গুলি করে হত্যা করে লাশ ফেলে যায়। ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনা ভারতে বসে বাংলাদেশের নিরীহ নাগরিককে গুলি করে হত্যার ইন্ধন দিচ্ছে। এই হত্যার বিচার না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।
বড়লেখা সীমান্তে গুলি করে বাংলাদেশি নাগরিক গোপাল বাক্তিকে হত্যার প্রতিবাদে রোববার রাতে বড়লেখা পৌরশহরে বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভায় এসব কথা বলেন মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও কাতার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুল হক সাজু।
তিনি আরোও বলেন, বিজয়ের মাসে আমাদের আরো একটি ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। সীমান্তে বিএসএফ আর একটি গুলি চালালে তার জবাব কিভাবে দিতে তা বাংলাদেশের মানুষ ভাল করে জানে।
প্রতিবাদ সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি নছিব আলী, পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুস শহীদ খান, উপজলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল আলম খোকন, সাবেক প্রচার সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস স্বপন, পৌর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক মুহাচ্ছিনুর রহমান বাদল, বিএনপির নেতা মীর মখলিছুর রহমান, আব্দুল মালিক, আব্দুল জব্বার, উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল কাদির পলাশ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রায়হান মো. মুজিব, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব আরিফুল ইসলাম, পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহরিয়ার ফাহিম, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব ইমন আহমদ, বড়লেখা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাফর আহমদ প্রমুখ।
বড়লেখা সীমান্তের জিরো লাইনে বিএসএফ গোপাল বাক্তিকে শনিবার যেকোনো সময় গুলি করে হত্যা করেছে। রোববার বিকেলে বিজিবি, পুলিশ ও স্বজনরা জিরো লাইনের ২০০ গজ বাংলাদেশ অভ্যন্তর থেকে তার লাশ উদ্ধার করেছে। নিহত গোপাল বাক্তি উপজেলার দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নের নিউ সমনবাগ চা বাগানের মোকাম সেকশনের সাবেক ইউপি সদস্য অকিল বাক্তির ছেলে।