বড়লেখায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত চা শ্রমিক গোপাল বাক্তির ময়না তদন্ত শেষে সোমবার বিকেলে স্বজনদের নিকট লাশ হস্তান্তর করেছে থানা পুলিশ। বিকেল পাঁচটায় পাথারিয়া চা বাগান সার্বজনিন শ্মশানঘাটে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে।
নিহত গোপাল বাক্তির বাবা, স্ত্রী, সন্তানসহ শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের শান্তনা দিতে বাড়িতে ছুটে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আক্তার এসময় তিনি সরকারের পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
এছাড়াও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আসলাম সারোয়ার, থানার ওসি মো. আব্দুল কাইয়ুম, দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউপির চেয়ারম্যান ইমরান আহমদ, জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি আব্দুস সামাদ, সাধারণ শিক্ষার্থী প্রতিনিধি আলী আব্বাস শাহীন, তামিম আহমদ, সাব্বির আহমদ, মাহফুজ খান সামি, আশরাফ মাহমুদ, ইসতেয়াক আহমদ, জুয়েল আহমদ, কিবরিয়া আল মাহমুদ প্রমুখ।
এদিকে সীমান্ত হত্যায় তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন, প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বিএনপি, জামায়াত , বৈশম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন।
সীমান্তের জিরো লাইনের ২০০ গজ অভ্যন্তর থেকে রোববার সন্ধ্যায় বিজিবি, পুলিশ ও স্বজনরা গোপাল বাক্তির লাশ উদ্ধার করেন। সে উপজেলার দক্ষিণভাগ দক্ষিন ইউনিয়নের নিউ সমনবাগ চা বাগানের মোকাম সেকশনের সাবেক ইউপি সদস্য অকিল বাক্তির ছেলে।
বড়লেখা থানার ওসি মো. আব্দুল কাইয়ুম জানান, সোমবার বিকেলে ময়না তদন্ত শেষে নিহতের লাশ তার স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করেছে পুলিশ। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর নিহত গোপাল বাক্তির মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
Leave a Reply