সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলা ছাত্রদলের পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন অনৈতিক কার্মকান্ড করে যাচ্ছেন হাসান আহমদ(৩০) নামের এক যুবক। তিনি উপজেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের অনুষ্ঠানাসহ সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোতেও অতিথি হয়ে যোগ দিচ্ছেন ওই পরিচয় বহন করে বেড়াচ্ছেন। প্রকৃতপক্ষে ছদ্মবেশী ওই প্রতারকের কাজ হচ্ছে সীমান্তের অপার থেকে আসা গরু ও চিনিসহ ভারতীয় পণ্যের লাইন ক্লিয়ার করা। গোটা উপজেলা তাকে বুঙ্গার লাইনম্যান হিসেবেই জানে বলে নিশ্চিত করেছেন স্থানীয়রা।
তারা বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে নিজেকে উপজেলা ছাত্রদলের সভাতির পরিচয় দিয়ে থাকেন হাসান। এই পরিচয়ে থানা পুলিশসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে গড়ে উঠে তার সখ্যতা। তাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানাদিতেও তাকে অতিথির আসনে বসতে দেখা গেছে। এছাড়াও স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানেও তিনি যোগ দেন ছাত্রদল সভাপতি হয়ে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তিনি চোরাকারবারীদের লাইনম্যান হয়ে কাজ করছেন। এ বিষয়ে তারা দলীয় কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।
অভিযুক্ত হাসান আহমদ উপজেলার লাখের পার আসাম পাড়া গ্রামের শাহ আলমের ছেলে।
শুক্রবার তার ফেইসবুক পেইজে আপলোড করা একটি ভিডিওতে প্রতারণার বিষয়টি স্পষ্ট।
এই বিষয় উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাহেদ আহমদ-এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ছাত্রদলের পরিচয় দিয়ে ভারতীয় লাইন চালাচ্ছে হাসান। তার সাথে একটি সক্রিয় টিমও রয়েছে। তারাই এই এলাকার লাইনটি নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।’
উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মুমিনুল ইসলাম বলেন, ‘হাসান ছাত্রদলের কেউ না। ছাত্রদলের পরিচয় দিয়ে জাফলং বালু মহল থেকে চাঁদা কালেকশন করে বিভিন্ন মিডিয়া পত্রিকায় নিউজ রয়েছে। তাকে শেল্টার দিচ্ছে দিচ্ছে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা জালাল উদ্দিন। ৫ আগস্ট সরকার পতন হওয়ার পর জালাল উদ্দীন পলাতক রয়েছে। কিন্তু, লাইনে আধিপত্য খাটিয়ে হাসান এখন আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ।’
দলের উপজেলা কেন্দ্রিক নীতি নির্ধারনী ওই দুইজন ছাড়াও অনেকের কাছে বিষয়টি পরিষ্কার যে, হাসান একজন প্রতারক। সে ছাত্রদলের কেউ না। ছদ্মবেশে সে কাজ করছে। অল্প দিনেই সম্পদের পাহাড় করে তোলা এই হাসানকে এখনই থামাতে হবে বলেও তারা অভিমাত প্রকাশ করেন।