সিলেটের গোয়াইনঘাটে সরকারি ৩৯ একর খাস জমি জোরপূর্বক দখল করে ফিসারীসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে। অবৈধভাবে জোরপূর্বক দখলকৃত জমি উদ্ধার ও স্থাপনা উচ্ছেদ এর জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর গত ৮ অক্টোবর ২০২৪ ইং তারিখে এলাকাবাসীর পক্ষে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের বিন্নাকান্দি গ্রামের আহাদ আলীর ছেলে নজরুল ইসলাম।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ফতেপুর ইউনিয়নের বিন্নাকান্দি গ্রামের হাওরে বাংলাদেশ সরকারের ১নং খাস খতিয়ানের জে.এল. নং ১৭৮ বি.এস, খতিয়ান নং ১, বি.এস, দাগ নং-১২০৬ এর ৩৯.৮৪০০ একর গোচারণ ভূমিতে উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের মছদ আলীর ছেলে আয়াত উল্লাহ (৫৫) ও আছদ্দর আলীর ছেলে আহমদ আলী (৬০) বিগত হাসিনা সরকারের আমলে প্রভাবশালী হওয়ায় দলীয় প্রভাব খাটিয়ে গোচরণ ভূমি জবরদখল করে ফিসারী সহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিন্নাকান্দি হাওরের গোচরণ ভূমি দখল করে ফিসারী সহ বিভিন্ন গাছপালা রোপণ করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানায়, এই জমিগুলো দীর্ঘকাল থেকেই গোচারণ ভূমি হিসেবে চিহ্নিত। কিন্তু বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হঠাৎ করে আয়াত উল্লাহ ও আহমদ আলী দলীয় প্রভাব খাটিয়ে গোচরণ ভূমিটি দখল করে ফিসারী সহ বিভিন্ন গাছপালা রোপণ করেন। তাদের ভয়ে কেউই মুখ খুলতে সাহস পায়নি তখন। সেই সুযোগে দীর্ঘদিন থেকে যায়গাটি দখলে রেখেছে ভূমিখেকু চক্র। তাদের দাবী দ্রুত জমি থেকে অবৈধ দখল উচ্ছেদ করবে প্রশাসন।
অভিযোগকারী নজরুল ইসলাম বলেন, এই জায়গাগুলো সরকারি খাস, ক্ষমতার জোরে এতদিন থেকে তাদের দখলে। তাই এখন যতদ্রুত সম্ভব এই জমি থেকে অবৈধ দখল উচ্ছেদ করবে প্রশাসন এমনটাই আশাবাদী।
গোচারণ ভূমি দখলের বিষয়ে জানতে চাইলে আয়াত উল্লাহ জমি দখলের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন আমি হাওরের কিছু জমিতে ফিসারি করেছি গ্রামের ময়মুরুব্বিদের কাছ থেকে লিজ নিয়ে। এরকম বহু জমি
গ্রামের মানুষ ভূগ করছে। সরকারি জমি গ্রামের ময়মুরুব্বিদের লিজ দেয়ার বৈধতা আছে কি সে প্রশ্নের জবাবে তিনি কিছু বলতে পারেন না।
আর গোয়াইনঘাট উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি সাইদুল ইসলামের মোবাইল একাধিক কল দিলে কল রিসিভ করেন নি।