জৈন্তাপুরে বারকী শ্রমিকদের বালু উত্তোলনের সুযোগ দিয়ে কর্মসংস্থান নিশ্চিতে পৃথক দুই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৫শে অক্টোবর) বিকেল ৪ টায় সিলেট তামাবিল মহাসড়কের ৪নং বাংলা বাজার এলাকায় এই বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মানববন্ধনে বৃহত্তর ৪ নং বাংলা বাজার বারকি শ্রমিক, হেমার শ্রমিক, লোডিং শ্রমিকেরা সতস্ফূর্ত অংশ নেয়। এ সময় মানববন্ধনে বৃহত্তর জৈন্তা পাথর শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রবের সভাপতিত্বে ও শ্রমিক নেতা রমিজ উদ্দিনের সঞ্চালনায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বক্তারা বলেন জৈন্তাপুরের তিনটি পাহাড়ীনদীর তীরবর্তী এলাকা থেকে বিগত ৫০ বছরের বেশী সময় ধরে বালু উত্তোলন করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে বহু বারকি শ্রমিক। সেই সাথে প্রত্যক্ষ ও পরক্ষোভাবে এই বালুর সাথে হেমার ও বেলচা শ্রমিকরাও তাদের জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। সে হিসেবে জৈন্তাপুরের এই সকল ঘাট গুলোতে প্রায় ৫০ হাজার শ্রমিক বালু উত্তোলনে জড়িত।
কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য বিগত কিছুদিন পূর্বে কিছু কুচক্রী মহলের অপ্রচারের কারণে এই সমস্ত বালু মহালে বার বার ষড়যন্ত্রের স্বীকার হচ্ছে। সেই সাথে উপজেলা প্রশাসন ও টাস্কফোর্সের একের পর এক অভিযানে বালু জব্দ করার ফলে শতভাগ শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। বর্তমানে শ্রমিক পরিবারদের শিশুদের লেখাপড়া চালানোতো দূরের কথা তিনবেলা খাবার জোগার করা অসম্ভব হয়ে গেছে।
এমতাবস্থায় দেশের অন্তরবর্তী কালীন সরকার প্রধানের নিকট তারা অনুরোধ করেন এই মুহুর্তে বিকল্প কর্মসংস্থান না থাকায় ম্যনুয়েল পদ্ধতিতে সারী,রাংপানি নদী হতে বৈধ উপায়ে বালু উত্তোলনের সুযোগ করে দেয়ার আহবান জানান শ্রমিক নেতারা। অন্যথায় জীবন জীবিকার জন্য ভবিষ্যৎএ বৃহৎ কর্মসূচির ঘোষণা দেন শ্রমিকরা।
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন ২ নং জৈন্তাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন, খুরশেদ আলম সহ- সভাপতি কামাল আহমেদ, শ্রমিকনেতা ফখরুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম, ওয়াদুদ মিয়া সহ অন্যান্যরা।
এর আগে বিকেল ৩টায় সারী নদী -৩ এলাকায় বৈধ উপায়ে বালু উত্তোলনের সুযোগ করে দেয়ার দাবীতে সারীঘাট দক্ষিণপাড়ে বিশাল এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সারী বারকি শ্রমিক সমিতির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আমির আলির সভাপতিত্বে কয়েক হাজার শ্রমিক মানববন্ধনে অংশ গ্রহন করেন।
Leave a Reply