সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলা সীমান্ত দিয়ে কিছুতেই থামছে না ভারতীয় গরু ও চিনি চোরাচালান। সরকার বদল হলেও বদলায়নি চিনি চোরাচালানের দৃশ্য। কিন্তু অদৃশ্য কারণে বদল হয়েছে চাঁদাবাজ চক্র। বর্তমানে চাঁদাবাজিতে নতুন নাম যোগ হয়েছে। এই নতুন চাঁদাবাজদের নেতৃত্বেই দেশে আসছে ভারতীয় চোরাই গরু চিনি।
উপজেলা মধ্য জাফলং ইউনিয়নের প্রতাবপুর, সংগ্রামপুঞ্জি, নকশীপুঞ্জি ও জাফলং খাসিয়াপুঞ্জি দিয়ে অবাধে আসছে গরু ও চিনি। এই চোরাচালানের নেতৃত্ব দিচ্ছে রাধানগরের গাংপার গ্রামের বাসিন্দা মতিন মিয়ার ছেলে মোশাররফ হোসেন ও তার সহযোগীরা। এই চাঁদাবাজ চক্রের বিজিবি ও পুলিশের নামে হরিলুট চালিয়ে যাচ্ছে।
জানা গেছে, প্রতিদিন রাতের আঁধারে গুরনও চিনির গাড়ি থেকে টাকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে এসকল পন্য সিলেট শহরে প্রবেশ করে। আর প্রতি গাড়ি থেকে ৫ হাজার টাকা করে পুলিশের নামে আদায় করেন মোশাররফ ও তার চক্রের সদস্যরা। যার ফলে প্রকাশ্যে গাড়ি ভর্তি চিনি নিয়ে থানার সামন দিয়ে চিনি নিয়ে যায় চোরাকারবারিরা।
এই চাঁদাবাজ চক্রের অন্যান্য সদস্যরা হলেন- ছোটখেলের রিয়াজ, লুনীর তোফায়েল, একই গ্রামের দেলোয়ার, বাউরবাগের ইসমাইলের ছেলে উজ্জ্বল।
এরমধ্যে উজ্জ্বল আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে হাত মিলিয়ে দীর্ঘদিন থেকে পুলিশের লাইনম্যানের দায়িত্ব পালন করছিলেন। তবে দলের বদল হলেও তাদের বদল হয়নি।
এ বিষয়ে গোয়াইনঘাট থানার ওসির বলেন চোরাচালানের বিরুদ্ধে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ কাজ করছে। কোন লোক পুলিশের নামে চাঁদা চাইলে পুলিশকে খবর দিলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
Leave a Reply