গোয়াইনঘাট ৩ নং পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত জাফলং আমির মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে গণশুনানির আয়োজন করতে আবেদন করেছেন প্রতিষ্ঠানের সাবেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ।
গত ২৭শে আগষ্ট গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম বরাবর কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে গণশুনানির আয়োজন করতে এই আবেদন করা হয়।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়, উক্তো প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান দীর্ঘদিন যাবৎ প্রতিষ্ঠান প্রধানের দায়িত্ব পালনকালে নানাবিধ অপকর্মে জড়ীত ছিলেন। আবেদনে উল্লেখ করা হয় বিগত সরকারের শাসনামলে তিনি স্হানীয় কিছু প্রভাবশালী নেতার সান্নিধ্যে থেকে অপকর্মে জড়ীত ছিলেন।
এর আগে ছাত্র,অভিভাবক তার নানা অনিয়ম, দূর্ণীতি নিয়ে মুখ খুললে ও কারণ জানতে চাইলে অদৃশ্য কারণে তিনি কাউকে পাত্তা না দিয়ে বহালতবিয়তে থেকে এই প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন যা স্হানীয় এলাকাবাসী ও প্রাক্তন ছাত্ররা কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছে না।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়, বর্তমান সময়ে দেশের স্বৈরাচার সরকার পতনের সাথে সাথে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দূর্নীতিবাস প্রতিষ্ঠান প্রধানদের অপসারণ করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় জাফলং এলাকার মানুষ কোন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করে শান্তিপূর্ণ ভাবে গণশুনানির আয়োজন করে শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা গ্রহনের আবেদন জানান।
এ বিষয়ে এলাকাবাসীর পক্ষে মো ফখরুল ইসলাম বলেন, তিনি নিজের এমপিও করেন প্রতিষ্ঠানের সভাপতির স্বাক্ষর জালিয়াতি করে। তাছাড়া বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে তিনি জড়ীত ছিলেন যা ইতিমধ্যে সিলেট শিক্ষা বোর্ডের তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। এ ছাড়াও বিদ্যালয়ের অফিসকে তিনি আওয়ামী কার্যালয়ে পরিণত করে বিভিন্ন অপকর্ম চালাতেন। বর্তমান সময় দেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনের সাথে সাথে দীর্ঘদিন ধরে আমির মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের দূর্নীতিবাজ এই শিক্ষকের অপসারণ চায় এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন,অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে। সাবেক প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামানকে অপসারণ করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে সহকারী প্রধান শিক্ষক কে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
Leave a Reply