সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী একই কর্মস্থলে তিন বছরের বেশি সময় থাকার বিধান নেই। অথচ গোয়াইনঘাট উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা জীবন কৃষ্ণ রায় একই কর্মস্থলে ২০ বছর ধরে চাকরি করছেন। যার ফলে অনেকটা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন ওই কর্মকর্তা। দীর্ঘ দিন একই কর্মস্থলে চাকরির সুবাধে ডালপালা মেলেছে তার। তার অধিপত্যে অধিনস্থ কিংবা সেবা গ্রহীতাদের সাথে খারাপ আচরণের অভিযোগও রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে যুগের পর যুগ গোয়াইনঘাট কৃষি অফিসে থাকছেন তিনি।
জীবন কৃষ্ণ রায় ২০০৪ সালের ০৮ আগস্ট গোয়াইনঘাট উপজেলা কৃষি অফিসারের কার্যালয়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা পদে চাকরিতে প্রথম যোগদান করেন। সেই থেকে অদ্যবধি কুড়ি বছর এক কর্মস্থলেই রয়েছেন তিনি। এই সুযোগে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছে পরিণত হয়েছে তার। ওই কর্মকর্তা গোয়াইনঘাট থেকেই অবসরে যাওয়ার অপেক্ষায়। এছাড়াও নিজের ইচ্ছামাফিক চালাচ্ছেন দাপ্তরিক কার্যক্রম।
কৃষি পন্য প্রকৃত কৃষকদের না দিয়ে তার পছন্দের লোকদের দিয়ে অন্যদের নিকট বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। কৃষি অফিসটা তিনি দুর্নীতি ও অনিয়মের আখড়ায় পরিণত করছেন এ কর্মকর্তা। এছাড়া কৃষক হয়রানি যেন তার নিত্য সঙ্গী।
গোয়াইনঘাটের আব্দুল্লাহ নামের এক কৃষকের অভিযোগ তিনি বলেন,,,জীবন বাবু খোব খারাপ লোক,তাইন আমারে একদিন সকাল তনে সন্ধ্যা পর্যন্ত অফিসো অপেক্ষায় রাখিয়া তাইন আমারে কষ্ট দিসইন। তাইন তানর ইচ্ছেমতে সব করইন। আমরা কৃষকদের সাথে খারাপ আচরণ করইন সব সময়। আমরা নিয়মিত সেবা পাইনা।
কুতুবউদ্দিন নামের এক কৃষক বলেন, জীবন বাবুর আচরণে বুজা যায় তাইন মনে হয় প্রধান কৃষি অফিসার। তাইন বিভিন্ন সময় টাকার বিনিময়ে কৃষকদের কৃষি পন্য দেইন।
এছাড়াও গোয়াইনঘাটের অনেক কৃষকদের অভিযোগ জীবন কৃষ্ণ রায় গোয়াইনঘাটে দীর্ঘদিন চাকরি করার কারনে সে বেপরোয়া হয়ে উটেছে। কৃষকদের সাথে খারাপ আচরণ এবং পর্যাপ্ত সেবা থেকে বঞ্চিত কৃষকরা। ফলে গোয়াইনঘাট উপজেলায় কৃষি সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে এসব অভিযোগের বিষয় অস্বীকার করে জীবন কৃষ্ণ রায় বলেন,,,বার বার বদলি হওয়ার জন্য চেষ্টা করছি কিন্তু কর্তৃপক্ষ সুযোগ দেয়নি। কর্তৃপক্ষ বদলি না করলে আমি কেমনে যাবো।