জৈন্তিয়া ছাত্রউন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগে ও সুগন্ধা নার্সারির সৌজন্যে জৈন্তাপুর উপজেলা ও উপজেলার বিভিন্ন জন গুরুত্বপুর্ন স্হানে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।শুরুতেই উপজেলা পরিষদ চত্তর স্কুল,কলেজ মাদ্রাসা ও পর্যটন কেন্দ্রে বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ, বনজ, ঔষধি গাছ রোপন করা হয়।এই আয়োজনে অংশ নেন লিডিং ইউনিভার্সিটির প্রফেসর শাহ মো. হাছান তিনি বৃক্ষের উপকারীতা তুলে ধরেন।
উক্ত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাগিব রাবেয়া মেডিকেল কলেজের ডার্মাটলজি বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান ডাক্তার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, যুবসমাজের নৈতিক অবক্ষয়ের ক্রান্তিলগ্নে জৈন্তিয়া ছাত্রউন্নয়ন পরিষদের সকল সদস্য ও সুগন্ধা নার্সারি স্বত্বাধিকারীর এমন সুন্দর আয়োজন সত্যিই প্রশংসনীয়। আজকের যুব সমাজেরা জাতির ভবিষ্যৎ কর্ণধার। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বিজয় পরবর্তী তরুণদের দেশগড়ার আগ্রহ দেখে আমরা বয়স্করা অভিভূত। তোমরাই পারবে দেশকে মনের মত করে সাজাতে । এগিয়ে যায় অদম্য অগ্রযাত্রায়।
জৈন্তিয়া ছাত্রউন্নয়ন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর হোসেনের সঞ্চালনায় সভাপতির বক্তব্য রাখেন জৈন্তিয়া ছাত্রউন্নয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খলীলুর রহমান। তিনি বলেন, একজন শিক্ষিত মানুষের কাছে সামাজিক কিছু দায়বদ্ধতা রয়েছে। সে নিজে যেমন আলোকিত মানুষ হবে, তেমনি তার পরিবার ও সমাজকেও আলোকিত করবে। সামাজিক সে দায়বদ্ধতা থেকে জৈন্তার শিক্ষিত,উদীয়মান তরুণসমাজ জৈন্তিয়া ছাত্রউন্নয়ন পরিষদের ব্যানারে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।
জৈন্তিয়া ছাত্রউন্নয়ন পরিষদ একটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন। এ সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আগামী প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশে কাজ করা। সমাজের সেবামূলক কাজ করা। তারই অংশ হিসেবে আমাদের আজকের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি। ইতিপূর্বে জৈন্তিয়া ছাত্রউন্নয়ন পরিষদ ছাত্র ছাত্রীদর প্রতিভা বিকাশের লক্ষ্যে ‘প্রতিভার সন্ধানে’ শিরোণামে প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। ২০২২ সালে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় জৈন্তিয়া ছাত্রউন্নয়ন পরিষদ বন্যা দুর্গতদের উদ্বার কার্যক্রম থেকে শুরু করে ত্রান সামগ্রী বিতরণ ও ক্ষতিগ্রস্ত ছাত্র ছাত্রীদের বই,খাতা,কলম ক্রয়ের জন্য নগদ অর্থ প্রদান করে।
এছাড়া গোল্ড মেডেল প্রাপ্ত সুগন্ধা নার্সারির স্বত্বাধিকারী মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও শোভাবর্ধন করতে আমি সুগন্ধা নার্সারিকে উৎসর্গ করলাম। আমি প্রতি বছর শত শত বৃক্ষ বিভিন্ন স্কুল কলেজ, মসজিদ ও মাদসায় দান করে থাকি। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন পরবর্তী সিলেট নগরীর সৌন্দর্য বর্ধনে বিভিন্ন রাস্তার আইল্যান্ডে আমার সুগন্ধা নার্সারির পক্ষ থেকে আমরা তিন শতাধিক বৃক্ষ রোপণ করেছি। শুধু বৃক্ষরোপণ করলেই চলবে না, আপনারা এর পরিচর্যা করবেন।
এতে উপস্থিত ছিলেন ইসলামি ব্যাংক কর্মকর্তা ফয়জুল জালাল ফয়সল, আমিনা হেলালী স্কুলের প্রধান শিক্ষক হেলাল আহমদ, বিশিষ্ট নদী গবেষক মো. আব্দুল হাই, জৈন্তাপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান কবির , সাংবাদিক সোহেল আহমদ, দলীল লেখক আফতাব উদ্দিন, সাবেক সেনাসদস্য দেলোয়ার, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম, জৈন্তিয়া ছাত্রউন্নয়ন পরিষদের সদস্য মাসুম, আনোয়ার, ইমরান, নূর উদ্দীন, লিডিং ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ফজলোর রহমান, মহিমা জান্নাত, উৎসা সুলতানা, এমসি কলেজের ছাত্র নূর মোহাম্মদ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ছাত্র – শিক্ষক, কৃষক, ব্যবসায়ী, সাংবাদিকসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
Leave a Reply