পুলিশের কাজই হচ্ছে, জনগণের সেবায় আত্মনিয়োগ করা, তাদের যেকোনো সমস্যায় এগিয়ে আসা এবং সহযোগিতা ও মানবিকতার হাত বাড়িয়ে দেয়া। আর এ কাজটি আন্তরিকতার সাথেই করে যাচ্ছেন পুলিশ সদস্য হাফিজুল ইসলাম সোহেল।
সম্প্রতি গোয়াইনঘাটে বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরার পথে বিয়ের যাত্রী বাহী একটি মাইক্রবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাঁদে পড়ে দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে আহত হন গাড়িতে থাকা বৃদ্ধ নারী গর্ভবর্তী মহিলা ও শিশুসহ ১১জন। মাইক্রবাসটি খাদে যাওয়ার কয়েক মিনিটের বিতরে ঘটনাস্থলে হাজির হন গোয়াইনঘাট থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্য হাফিজুল ইসলাম সোহেল। তাৎক্ষণিক তিনি পানিতে নেমে গাড়ির গ্লাস ভেঙে উপস্থিত জনতার সাহায্যে একে একে সকলকে উদ্ধার করে গোয়াইনঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। সেখান থেকে গুরুতর আহত ৯ জন কে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এম এজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা।
গত ৯ জুন রোববার বিকাল ৪টার দিকে সারী- গোয়াইনঘাট সড়কের ফুলেরগ্রাম মারকাজের সম্মুখে এঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহতদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশংকাজনক। পুলিশ সদস্য হাফিজুল ইসলাম সোহেল খুব সাহসিকতা ও দক্ষতার সাথে এই উদ্ধার কাজে বিশেষ ভূমিকা রাখায় সর্ব মহলে প্রশংসিত হয়েছেন তিনি।
পুলিশ সদস্য হাফিজুল ইসলাম সোহেল জানান রাস্তার পাশে একটি গরু রশি দিয়ে বাধা ছিল। হটাৎ গরুটি রাস্তায় এসে নোহা গাড়ির সামনে পড়ে যাওয়ার ফলে এই ভয়াবহ দূর্ঘটনা ঘটে। এবং ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টিম এসে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
আহতরা হলেন গোয়াইনঘাট উপজেলার পশ্চিম আলীরগাঁও ইউনিয়নের লামা সাতাইন গ্রামের আলকুমা বিবি (৭৮), নাজমা (২৮), জাবেদ (৬), জাবেল (৭), আল-আমীন (৩), রুবিনা (২৫), তাবাছ্ছুম (২), লিপা (৩), রনিপা (২), সুমনা (২২), মাহা (৩) ও মাশরাফি (৩)। এর মধ্যে আলকুমা বিবি ও নাজমা বেগমের অবস্থা আশংকাজনক।