হোল্ডিং ট্যক্স সহনীয় পর্যায় নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়েছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। এসেসেমেন্ট/রি—এসেসমেন্ট বার্ষিক মূল্যায়নের উপর কর নিরূপনক্রমে তালিকা প্রসঙ্গে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আগামী সপ্তাহ থেকে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে পর্যায়ক্রমে আলোচনা সভা করে ট্যাক্স নির্ধারণ নিয়ে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হবে। এব্যাপারে ২৭ টি ওয়ার্ডে রিভিউ বোর্ড গঠন করা হবে। পূর্ব নির্ধারিত সময় বর্ধিত করে ২৮ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। আবেদন রিভিউয়ের মাধ্যমে হোল্ডিং ট্যক্স সহনীয় পর্যায় নির্ধারন করা হবে। এছাড়াও নতুন ১৫টি ওয়ার্ডের এসেসমেন্ট স্থাগতিরে সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে।
হোল্ডিং ট্যাক্স নিয়ে রবিবার (১২ মে) দুপুর ২টায় নগর ভবনের সভা কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।এর আগে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাধারণ সভায় এ নিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে সিসক মেয়র জানান।
মেয়র বলেন, চলমান এসেসেমেন্ট/রি—এসেসমেন্ট নিয়ে কোন প্রকার উদ্বিগ্ন হওয়ার কারন নেই। সিলেটের সচেতন নাগরিক ও কাউন্সিলরদের সাথে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হবে। এ বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে আমাদের পরিষদের আলোচনা হয়েছে। সর্ব সম্মতিক্রমে সহনীয় মাত্রায় ট্যাক্স নির্ধারণের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হবে।
মেয়র জানান, করারোপ নিয়ে যারা আপত্তি করেছেন তাদের আবেদন শতভাগ স্বচ্ছতার মাধ্যমে রিভিউ করা হবে। আমরা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। জনগণের স্বার্থ প্রাধান্য বিবেচনা করে আমরা কাজ করবো। এখানে কারো প্রতি অবিচার করা হবেনা। যেকোন বিষয় নাগরিকদের মতামতের ভিত্তিতে কাজ করবে সিসিক। ইতিমধ্যে যারা অভিযোগ ও স্মারক লিপি প্রদান করেছেন তাদের অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে স্বচ্ছতার মাধ্যমে দেখা হবে। সবার সহযোগিতায় এ বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হবে।
তিনি বলেন,অনেক প্রভাবশালীরা কোনদিন কর পরিশোধ করেননি। অনেকে আবার অনেক বছর ধরে নিয়মিত কর পরিশোধ করেন না আক্ষেপ জানিয়ে মেয়র বলেন এভাবে চললে সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়ন হবে কিভাবে হবে প্রশ্ন রাখেন তিনি। সিলেটের নাগরিদের নিয়ে একটি যৌক্তিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সহনীয় মাত্রায় করা নির্ধারন করা হবে। এ বিষয়ে তিনি আবারও নগরবাসীর সহযোগীতা চেয়েছেন।