সিলেট সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে ২৩ হাজার ২৬৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সুজাত আলী রফিক।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. সামসুল ইসলাম আনারস প্রতীকে ১৩ হাজার ৮৬৩ ভোট পেয়েছেন।
অন্য প্রার্থীদের মধ্যে ডা. মো. খলিলুর রহমান (টেলিফোন) পেয়েছেন ১২ হাজার ৫৯১ ভোট, শ্রমিক লীগ সিলেট জেলা শাখার সভাপতি মো. এজাজুল হক (মোটরসাইকেল) ৬ হাজার ৭৯৬, মো. আহাদ মিয়া (দোয়াত-কলম) ৫ হাজার ৪০১ ও মিল্লাত আহমদ চৌধুরী (ঘোড়া) ৪ হাজার ৮৬৪ ভোট।
দক্ষিণ সুরমা উপজেলা, সিলেট
সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. বদরুল ইসলাম টেলিফোন প্রতীকে ২০ হাজার ৮৩০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শামীম আহমদ মোটরসাইকেল প্রতীকে ১৪ হাজার ৮৬৪ ভোট পেয়েছেন।
অন্য প্রার্থীদের মধ্যে মো. জুয়েল আহমদ (ঘোড়া) পেয়েছেন ১২ হাজার ৮৭২ ভোট, মো. মইনুল ইসলাম (আনারস) ৫ হাজার ১৪৪ ভোট ও মো. সাহেদ মোশারফ ৪ হাজার ১৭৩ ভোট পেয়েছেন।
গোলাপগঞ্জ উপজেলা, সিলেট
গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বর্তমান চেয়ারম্যান মঞ্জুর কাদির শাফি এলিম দোয়াত কলম প্রতীকে ৩৭ হাজার ৭৮৯ ভোট পেয়ে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবু সুফিয়ান (আনারস) পেয়েছেন ২৯ হাজার ১৭ ভোট। অপর প্রতিদ্বন্দ্বী শাহিদুর রহমান চৌধুরী (ঘোড়া) ১৫ হাজার ১৯৭ ভোট পেয়েছেন।
বিশ্বনাথ উপজেলা, সিলেট
বেসরকারি ফলাফলে চেয়ারম্যান পদে বিশ্বনাথের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মোহাম্মদ সুহেল আহমদ চৌধুরী নির্বাচিত হয়েছেন।
কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে তিনি ১৩ হাজার ৩২২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী গিয়াস উদ্দিন আহমদ আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১২ হাজার ৯৬৮ ভোট।
অন্য প্রার্থীদের মধ্যে মো. সেবুল মিয়া (দোয়াত-কলম) পেয়েছেন ১১ হাজার ৬৯৯ ভোট, আলতাব হোসেন (টেলিফোন) ৮ হাজার ৭০৩ ভোট, গৌছ খান (কৈ মাছ) ৫ হাজার ৭৮৮ ভোট, শমসাদুর রহমান রাহিন (শালিক) ২ হাজার ১৫০, আব্দুল রোসন চেরাগ আলী (ঘোড়া) ১ হাজার ৬৪৪, এস আলী এনামুল হক চৌধুরী (মোটরসাইকেল) ৯৪১, সফিক উদ্দিন (উট) ৫১৮, আকদ্দুস আলী (হেলিকপ্টার) ৪০৩ ভোট।
শাল্লা উপজেলা, সুনামগঞ্জ
সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা অবণী মোহন দাস ২৩ হাজার ৯০০ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা বিএনপির বহিষ্কৃত সভাপতি গনেন্দ্র আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১৫ হাজার ৫৭৪ ভোট।
দিরাই উপজেলা, সুনামগঞ্জ
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায় দোয়াত-কলম প্রতীকে ৩০ হাজার ৪৫২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রঞ্জন কুমার রায় ঘোড়া প্রতীকে ১৯ হাজার ৯৩৬ ভোট পেয়েছেন।
জুড়ী উপজেলা, মৌলভীবাজার
মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে ১৯ হাজার ৯১৮ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক কিশোর রায় চৌধুরী মনি।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ মোঈদ ফারুক আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১৫ হাজার ১৮৮ ভোট।
অন্য প্রার্থীদের মধ্যে কবির চৌধুরী (দোয়াত-কলম) পেয়েছেন ১২ হাজার ৩৬৩ ভোট, রিংকু রঞ্জন দাশ (মোটরসাইকেল) ৪ হাজার ৯৪০ ভোট, মো. আলী হোসেন (ঘোড়া) ৯৯২ ভোট ও মো. নাসির উদ্দিন (কড়াই) পেয়েছেন ২১৭ ভোট।
বড়লেখা উপজেলা, মৌলভীবাজার
জেলার বড়লেখা উপজেলায় মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে মো. আজির উদ্দিন ৩২ হাজার ৯১৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২৮ হাজার ৩৬৯ ভোট।
অন্য প্রার্থীদের মধ্যে মো. রফিকুল ইসলাম (আনারস) পেয়েছেন ১৯ হাজার ৬৩৫ ভোট ও মাসুম আহমদ হাসান (উট) পেয়েছেন ৯১৪ ভোট।
কুলাউড়া উপজেলা, মৌলভীবাজার
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের তিন হেভিওয়েট নেতাকে ধরাশায়ী করে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন সিলেটের ফুলতলী পীর সমর্থিত আল ইসলাহর প্রার্থী মাওলানা ফজলুল হক খান সাহেদ।
বেসরকারি ফলাফল অনুসারে ১০৩টি ভোট কেন্দ্রে মোট ২ লাখ ৯০ হাজার ৬৪৮ ভোটের মধ্যে দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে ৩৭ হাজার ৫৫৯ ভোট পেয়ে তিনি বিজয়ী হন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৮৪২।
এছাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রেনু আনারস প্রতীকে ১৭ হাজার ২৯৮ ভোট এবং আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কামাল হাসান মোটর সাইকেল প্রতীকে ৫ হাজার ৫৮৪ ভোট পেয়েছেন।
উপজেলা ভাইস পেয়ারম্যান পদে রাজ কুমার কালোয়ার (চশমা) ৩১ হাজার ৩৫২ ভোট ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নেহার বেগম (ফুটবল) প্রতিকে ৭১ হাজার ২০৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
বানিয়াচং উপজেলা, হবিগঞ্জ
ঘোষিত ফলাফলে বানিয়াচং উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন খান নির্বাচিত হয়েছেন।
আনারস প্রতীক নিয়ে তিনি ৪২ হাজার ৪৩৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি হবিগঞ্জ জেলা যুবলীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কাসেম চৌধুরী মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৩১ হাজার ৮০৩ ভোট।
আজমিরীগঞ্জ উপজেলা, হবিগঞ্জ
আজমিরীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান পদে মো. আলাউদ্দিন নির্বাচিত হয়েছেন। কাপ-পিরিচ প্রতীকে ১৫ হাজার ১৮২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন তিনি।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. আলী আমজাদ তালুকদার পেয়েছেন ১২ হাজার ৫০৩ ভোট।
Leave a Reply