ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে তিনটি পদে ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে চলছে। সকাল থেকে কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া যায়নি।
বুধবার (৮মে) সকাল ৮টায় সিলেটের চারটি উপজেলায় একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
সরেজমিন নির্বাচনী এলাকার মধ্যে কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, ভোট গ্রহণ শুরু হয় সকাল ৮টায়। শুরুতে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটের লাইনে নারী-পুরুষের উপস্থিতি বেড়েছে।
সিলেটের রিটার্নিং কর্মকর্তার তথ্য অনুযায়ী, সিলেটের চারটি উপজেলায় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৪ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন রয়েছেন ভোটযুদ্ধে। এসব উপজেলায় মোট আট লাখ ১৪ হাজার ৫২ ভোটার ৩০২টি কেন্দ্রে ভোট দিচ্ছেন।
সিলেট সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ছয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন, ডা. মো. খলিলুর রহমান (টেলিফোন), মো. সুজাত আলী রফিক (কাপ-পিরিচ), মিল্লাত আহমদ চৌধুরী (ঘোড়া), মো. আহাদ মিয়া (দোয়াত-কলম), মো. এজাজুল হক (মোটরসাইকেল), মো. সামসুল ইসলাম (আনারস)। এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে আটজন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুইজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- মো. মইনুল ইসলাম (আনারস), মোহাম্মদ জুয়েল আহমদ (ঘোড়া), মো. বদরুল ইসলাম (টেলিফোন), মো. শামীম আহমদ (মোটরসাইকেল), মো. সাহেদ মোশারফ (কাপ-পিরিচ)। এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন লড়ছেন।
গোলাপগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা হলেন, মঞ্জুর কাদির শাফি (দোয়াত-কলম), আবু সুফিয়ান (আনারস) ও শাহিদুর রহমান (ঘোড়া)। এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুইজন প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন।
বিশ্বনাথ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আ. কদ্দুছ আলী লড়ছেন হেলিকাপ্টার মার্কা নিয়ে, আলতাব হোসেন (টেলিফোন), গিয়াস উদ্দিন আহমদ (আনারস), গৌছ খান (কৈ মাছ), মোহাম্মদ এস আলী এনামুল হক চৌধুরী (মোটরসাইকেল), মোহাম্মদ সুহেল আহমদ চৌধুরী (কাপ-পিরিচ), মো. আব্দুল রোসন চেরাগ আলী (ঘোড়া), মো. সেবুল মিয়া (দোয়াত কলম), সফিক উদ্দিন (উট), শামসাদুর রহমান রাহিন (শালিক)। এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছয়জন এবং তিনজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোটের লড়াইয়ে আছেন।
এদিকে, চার উপজেলায় ৩০২টি কেন্দ্রের ১৭৪টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ ধরে নিরাপত্তায় রয়েছে মাঠ প্রশাসন। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে ছয় হাজারের বেশি পুলিশ ও আসনার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। ভোটে আড়াই হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য, সাড়ে তিন হাজারের বেশি আনসার সদস্য ও চারজন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট ও ৩৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত রয়েছেন। এর বাইরে বিজিবি ও এপিবিএন সদস্যরাও মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।
Leave a Reply