বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল ৯টায় সারিগোয়াইন নদীর পানি সারিঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ১১৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিলো। এছাড়াও বড় নয়াগাং ও রাংপানি নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার নিজপাট ও জৈন্তাপুর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল বৃষ্টির পানি ও পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে হাওরের বোরো ধান৷
বন্যা কবলিত এলাকার মধ্যে রয়েছে নয়াবাড়ি, ফুলবাড়ি, কেন্দ্রী, ডিবিরহাওর, ঘিলাতৈল, মুক্তাপুর, বিরাইমারা হাওর, খারুবিল, চাতলারপাড়, ডুলটিরপাড়, ১নং লক্ষীপুর, ২নং লক্ষীপুর, আমবাড়ি, ঝিঙ্গাবাড়ি, কাঠালবাড়ির নিম্নাঞ্চল।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকালে সারিগোয়াইন নদী সারিঘাট পয়েন্টে চব্বিশ ঘন্টায় ৩৮২ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ১১৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিলো। সন্ধ্যা ৬টায় এ নদীর অনেকটা নেমে বিপদসীমার ৬ সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে সালিক রুমাইয়া বলেন, ‘জৈন্তাপুর উপজেলায় অনেক বেশি বৃষ্টিপাত হয়। পাহাড়ি ঢলের সাথে টানা বৃষ্টিতে আকস্মিক বন্যা (ফ্ল্যাশ ফ্লাড) পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। আমরা বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি এবং জনসাধারণকে সর্তক থাকতে বলা হয়েছে।
Leave a Reply