জৈন্তাপুর সীমান্তে প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে লেপটিন শহিদের লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদাবাজিসিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা দিয়ে দেশে আসছে ভারতীয় অবৈধ পণ্য। আর এই ভারতীয় পণ্য থেকে দৈনিক লাখ লাখ টাকার চাঁদা আদায় করে আসছে বিজিবি, থানা পুলিশ ও জেলা ডিবি পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে চোরাকারবারিদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদা আদায় করে শহিদ ওরফে লেপটিন শহিদ নামে এক ব্যক্তি।
এই লেপটিন শহিদের অসংখ্য ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় এবং গত কয়েদিন আগে থানার কম্পাউন্টে একটি প্রাইভেট কার পুলিশের হয়ে তল্লাশি করে আসছে এই লেপটিন শহিদ।
লাইনম্যান পরিচয়দানরী লেপটিন শহিদ চোরাকারবারীদের প্রকাশ্যে নেতৃত্ব দিচ্ছে। বিনিময় রাতের আধারে লক্ষ লক্ষ টাকার চাঁদা দিচ্ছেন চোরাকারবারীরা। বানের পানির মত সীমান্ত দিয়ে দেশে প্রবেশ করছে ভারতীয় গরু- মহিষ, নাছির বিড়ি মদ, ইয়াবা, মোটরসাইকেল, মোবাইল ও কসমেট্রিক্স সহ ইত্যাদি সামগ্রী। কিন্তু লেপটিন শহিদ নেতৃত্ব থাকার কারণে কোন চোরাকারবারীর অবৈধ পণ্য আটক করেনি থানা পুলিশ ও জেলা ডিবি পুলিশ।
স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, লেপটিন শহীদ নামের এই ব্যক্তি এই চোরাকারবারীদের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে। বিজিবি ও পুলিশের নামে চাঁদা আদায় করে। যারফলে লাইনম্যান লেপটিন শহিদের মতোন লোকেদের জন্য প্রশাসনের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে বলে মনে করেন এলাকার সচেতন মহল। লেপটিন শহিদ এর আগে করিম নামক এক ব্যাক্তি ছিলেন এই লাইনের দায়িত্বে। করিম মিয়া লাইন থেকে অবৈধ টাকা কামাই করে অল্প দিলে হয়ে যান আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ। করিম মিয়া এখন কোটি কোটি টাকার মালিক।
এই লাইনে কি এত টাকা? এই অবৈধ লাইনে চাঁদাবাজ হয়ে আসছেন লেপটিন শহিদের কাছে । তারাও বেশি দিন লাগবে না গড়ে তোলবে অবৈধ সম্পদ। লেপটিন শহিদের শেল্টার নিয়ে প্রতিদিন জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট ইউনিয়নের ডিবির হাওর সীমান্তে ঘিলাতৈল এলাকায় বিজিবি‘র টহল টিম ফাঁকি দিয়ে চোরাকারবারীরা ভারতীয় অবৈধ পণ্য বাংলাদেশে রপ্তানিতে ব্যস্ত থাকে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জৈন্তাপুর উপজেলার জৈন্তাপুর ইউনিয়নের ৪৮ বিজিবি’র নিয়ন্ত্রনাধীন, আলুবাগান,মোকামপুঞ্জি, শ্রীপুর আদর্শগ্রাম, মিনাটিলা,কেন্দ্রী,কাটালবাড়ী, নিজপাট ইউনিয়নের ডিবিরহাওর,খলারবন্দ এবং ১৯ বিজিবি’র নিয়ন্ত্রনাধীন ফুলবাড়ী, ঘিলাতৈল, টিপরাখলা, কমলাবাড়ী, গোয়াবাড়ী, বাইরাখেল, হর্নি, কলিঞ্জি, চারিকাটা ইউনিয়নের জালিয়াখলা,বাগছড়া, লালাখাল, তুমইর, অফিফানগর, বালিদাঁড়া, ইয়াং রাজা এলাকা দিয়ে গত এক সাপ্তাহ হতে নতুন করে চোরাকারবার সিন্ডিকেট চক্রের সদস্যরা বানের পানির মত ভারতীয় মদ, বিআর, ফেন্সীড্রিল, শেখ নাছির উদ্দিন বিড়ি (পাতার বিড়ি), বিভিন্ন ব্যান্ডের সিগারেট, ইয়াবা, বিস্কুট, কসমেট্রিক্স,বিভিন্ন ব্যান্ডের মোবাইল সহ নানান সামগ্রী বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেখা যায়৷
এসব পণ্য বাংলাদেশে প্রবেশ করতে লেপটিন শহিদ ও বিজিবি ও পুলিশে নাম ব্যবহার করে প্রকাশ্যে লাইনম্যান নামক এই চক্র চোরাকারবারীদের নিকট হতে চাঁদা আদায় করে আসছে৷
তারা দাবী করেন এসব বেআইনি কাজে যারা জড়িত সমাজের সচেতন মহল আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে তথ্য দিন,আমাদের নামে কাউকে চাঁদা না দেয় তার পরেও আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি বলে জানান৷
এ বিষয়ে লেপটিন শহিদের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে সাংবাদিক শুনে ফোন কেটে দেয়।