সারাদেশে নদী-নালা, খাল-বিল সংরক্ষণ, খনন ও রক্ষার পরিকল্পনা হাতে নিচ্ছে সরকার। আর নবীগঞ্জে প্রবাহমান সরকারি খালের উপর অবৈধ ভাবে রাস্তা নির্মাণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
(সোমবার ৮ এপ্রিল) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়।উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী পুরানো গুরমুলিয়া খালের উপর এক সাইট দিয়ে প্রায় ২০ ফুট রাস্তার নামে অবৈধ বাধ দিয়ে ব্যক্তিগত রাস্তা নির্মাণ করছে স্থানীয় মহিলা ইউপি সদস্য (১, ২, ৩ নং ওয়ার্ড) সদস্য মরিয়ম বেগম ।
জানা যায়, উপজেলা প্রকল্প অফিসের মাধ্যমে কয়েক লাখ টাকার কর্মসুচির নামে খালের পাশে রাস্তা সংস্কার করা বাবদ বরাদ্দ দেয়া হয়। ঐ বরাদ্দের টাকা দিয়ে তিনি তার নিজ বাড়িতে যাওয়া আসার রাস্তার কাজ করছেন।
সরকারের নদী খাল সুরক্ষা আইন না মেনে প্রকল্পটির প্রায় লাখ টাকা ব্যয় করে খালের উপর অবৈধ বাধ দিয়ে নিজের ব্যক্তিগত রাস্তা নির্মাণ করেন মহিলা ইউপি সদস্য মরিয়ম বেগম । রেকর্ডে ৪৫৩৪ নং ছুট দাগের খালটি উপজেলার শাখা বরাক নদীর সাথে সংযোগস্থল। এভাবে খালে অবৈধ বাধ দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করা বেআইনি বলে জানান এলাকাবাসী।
স্থানীয় ও এলাকাবাসীর পক্ষে অভিযোগ করেন বলেন, আব্দাল মিয়া তালুকদার ৪৫ ,পরেশ দাশ ৩৫,আবু তাহের গাজী ৫৫,সফিজুল চৌধুরী ২২,পানেশ দাশ ৩৫,
বদরদি গ্রামের খালের প্রবাহমান অংশ ভরাট করে রাস্তা নির্মাণ করা হয়। খালে বাধ দেয়ায় বর্ষা মৌসুমে নৌ পথে চলাচল বন্ধসহ অত্র এলাকার বিলে পানি প্রবাহ বন্ধ থাকবে। কৃষি নির্ভর এ এলাকার ফসলের মাঠের উর্বতা হারিয়ে কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিবে।
ধারণা করা হচ্ছে খাল ভরাটের মধ্যে দিয়ে খালের অস্তিত্ব বিলীন করে খাল দখলের পায়তারা করছে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহল। আশির দশকেও এ খাল দিয়ে লঞ্চ চলাচল করলেও কালের বিবর্তনে তা হারিয়ে যায় বর্তমানে কৃষকের কথা চিন্তা করে খালের স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ ফিরিয়ে আনতে খালে অবৈধ বাধ উচ্ছেদ করা হোক কর্তৃপক্ষের কাছে স্থানীয়দের দাবি।
মহিলা ইউপি সদস্য মরিয়ম বেগম বলেন , এটা সরকারি খাল ঠিক আছে কিন্তু আমি বিগত ২০১৩ সালে সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ লুৎফর রহমান বরাবর আবেন করে অনুমতি নিয়েই রাস্তার কাজ করছি । যদি মাইপা সরকারি খালে পরে তাইলে কি এ বাড়ীর মানুষ গুলা বের হতে পারতো না। এ খালটা তো কোন কাজে লাগেনা। তাই রাস্তা নির্মাণ করছি।
এক ব্যক্তি জানান পূর্বে-পশ্চিমে জমি , খাল এটা রাস্তা নির্মাণের জায়গা নাহ এই খাল থেকে সবসময়ই জমিতে পানি দিয়ে ধান রোপন করে আসছি আমরা উপজেলা প্রশাসনের সুদৃষ্ট কামনা করছি।
মহিলা মেম্বার আরো বলেন, রাস্তার নির্মানের কারণে কোন ক্ষতি হয় না। যদি ক্ষতি হইতো তাইলে চেয়ারম্যান এবং মেম্বার দেখছে কোন ক্ষতি হয় না তাই তারা অনুমতি দিয়েছেন।
বাউসা ইউপির চেয়ারম্যান সাদিকুর রহমান শিশু তার মোবাইল ফোনে বারবার কল দিলে ও ফোন রিসিভ করে কথা বুঝা যাচ্ছে না বলে ফোন কেটে দেওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীন দেলোয়ার দৈনিক আমার হবিগঞ্জ কে জানান, সরকারি খাল দখল করে রাস্তা নির্মানের কোন নিয়ম নেই খোঁজ নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply