সিলেটের গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের অবৈধ আয়ের হাতিয়ার সোর্স ইব্রাহিমের হাতে মিজ্ঝি এলাকার শান্তিকামী মানুষজন। তার যন্ত্রণায় অতিষ্ট গোয়াইনঘাট উপজেলার ২নং পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের ৬টি গ্রামের লোকজন। সে থানা পুলিশের ভয় দেখিয়ে এলাকার নিরপরাধ মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। পুলিশের সোর্স ইব্রাহিম পারভেজ গোয়াইনঘাট থানাধীন কাপ্তানপুর গ্রামের হুসাইন আহমদের ছেলে। সে বেকারত্ব যুবক নেই কোন ব্যবসা-বাণিজ্য। কিন্তু বর্তমানের গড়ে তোলেছে বিশাল সম্পদ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোর্স ইব্রাহিম গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের অবৈধ আয়ের হাতিয়ার। সে ২নং পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের দায়িত্বরত এসআই জাহাঙ্গির ও এএসআই রয়েল এর অবৈধ টাকা আদায়ের লাইনম্যান হিসাবে কাজ করছে। সেই সুবাদে উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা লক্ষলছড়া, কুলুমছড়া, নওয়াগাও, গাছলাউরা, মনাইকান্দি, বুগইলকান্দিসহ এসকল গ্রামের বাসিন্দারা তার যন্ত্রণায় অতিষ্ট।
তার বিরুদ্ধে স্থানীয়রা পুলিশের কাছে অভিযোগ দিলেও কোন প্রতিকার পায়নি বরং সে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। বর্তমানে ভারতীয় চোরাই পণ্য মাদক, চিনি, গরুসহ সবকিছুর নিয়ন্ত্রক ইব্রাহিম। এর আগে একই এলাকার শরিফ নামের আরেক যুবক ভারতীয় চোরাই লাইনের দায়িত্বে ছিলো। কিন্তু পুলিশকে ভুল বুঝিয়ে শরিফকে লাইন আউট করেছে ইব্রাহিম। সে প্রতিদিন সন্দা থেকে ভোর পর্যন্ত এলাকায় মহড়া দিতে থাকে। কোন রাস্তায় বের হলেই সে পুলিশ ও মামলার ভয় দেখিয়ে হাতিয়ে অর্থ।
অভিযোগে প্রকাশ, ইব্রাহিম ভারতীয় চোরাই পণ্য ও মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে আদায় করা টাকা প্রতিদিন রাতেই আদায় করে এবং দৈনিকের হিসাব এএসআই রয়েল এর কাছে পৌছে দেয়। যার ফলে পুলিশের কাছে সে অতি প্রিয়জন। সে কল করার সাথে সাথে পুলিশ হাজির স্পটে এবং শুরু করে মানুষকে হয়রানি। পরে ইব্রাহিম সমাধানের কথা বলে আদায় করে বড় অংকের টাকা। সোর্স ইব্রাহিমের হাত রক্ষা পেতে পুলিশের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট আশুহস্থক্ষেপ কামানা করেছেন এলাকার শান্তিকামী মানুষজন।