পণ্য আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে শুল্ক কর বৃদ্ধির প্রতিবাদে সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দরসহ সবকটি শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফের পাথর আমদানি বন্ধ করে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। গত সোমবার (৮ জানুয়ারি) এক মতবিনিময় সভা থেকে ভারত থেকে পাথর আমদানি বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন ব্যবসায়ীরা। এদিকে স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় বেকার হয়ে পড়েছেন কয়েক হাজার শ্রমিক। গতকাল শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে তামাবিল স্থল বন্দর খোলে দেয়ার দাবিতে শ্রমিকদের উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তামাবিল স্থল বন্দর শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের আয়োজনে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, সহ-সভাপতি আয়নাল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলামসহ শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সদস্যরা। এসময় উপস্থিত শ্রমিকরা স্থলবন্দর খোলে দেয়ার জোর দাবী জানান। মানববন্ধন শেষে সড়ক অবরোধ করে রাখেন শ্রমিকরা। এতে যানবাহন আটকা পড়ে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী সাধারণ। পরে তামাবিল পাথর, চুনাপাথর ও কয়লা আমদানীকারক গ্রুপের নেতৃবৃন্দের আশ্বাসে শ্রমিকরা আগামী দুই দিনের জন্য আন্দোলন স্থগিত রাখেন।
তামাবিল চুনাপাথর, পাথর ও কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি এম. লিয়াকত আলী বলেন, তামাবিল স্থলবন্দরে অবস্থিত বাংলাদেশ শুল্ক বিভাগ পণ্য আমদানিতে প্রতি টনে পূর্বের নির্ধারিত এসএসমেন্ট ১২ ডলারের পরিবর্তে বর্তমানে আরও ১ ডলার বৃদ্ধি করে ১৩ ডলার করেছে। বাড়তি শুল্ককর প্রত্যাহারের দাবিতে সোমবার থেকে উভয় দেশে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করে দেন পাথর আমদানিকারকরা। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে প্রতি টনে ১৩ ডলার এসেসমেন্ট রেট নির্ধারণ করায় ব্যবসায়ীদের পূর্বের তুলনায় ৫০ টাকা হারে বেশি রাজস্ব দিতে হবে। এই হারে রাজস্ব বাড়ার কারণে ব্যবসায়ীদের লোকসান গুণতে হবে। ফলে ব্যবসায়ীরা বাড়তি শুল্ক হার প্রত্যাহারের দাবীতে পণ্য আমদানি বন্ধ রেখেছেন। শুল্ক কর না কমানো পর্যন্ত পাথর আমদানি করবেন না বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, এনবিআর কর্তৃক সিলেট অঞ্চলের স্থলবন্দরগুলোতে ভারত থেকে আমদানি করা বোল্ডার স্টোন, স্টোন চিপস এবং লাইমস্টোন পাথরের উপর অতিরিক্ত শুল্কায়ন মূল্যবৃদ্ধি সংক্রান্ত সিলেট কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট কর্তৃক গত ৪ জানুয়ারি এক পত্রে ৮ জানুয়ারি থেকে শুল্কায়ন মূল্য কার্যকর হওয়ার কথা জানানো হয়। এরপর পাথর আমদানি বন্ধ করে দেন আমদানি কারকরা।