দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টানা ৭ম বারের মতো নৌকা প্রতিকে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন বীর মুক্তিযোদ্ধা উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ এমপি। এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর এবছর পূর্ণমন্ত্রীর তালিকায় স্থান পেয়েছেন তিনি। তার এমন সংবাদে ২৩৮ মৌলভীবাজার-৪ (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ) আসনসহ জেলাজুড়ে নেতাকর্মীরা আনন্দ উল্লাস করছেন। বিভিন্ন স্থানে মিষ্টি বিতরণ চলছে। এলাকায় পর্যটন উন্নয়ন, মেডিকেল কলেজ স্থাপনসহ ব্যাপক উন্নয়নের আশাবাদী দুই উপজেলার জনসাধারণ।
গত বুধবার পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের তালিকা প্রকাশ হয়। পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রীর তালিকায় কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল থেকে টানা ৭ম বারের মতো নৌকা প্রতিকে বিজয়ী উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ এমপির নাম প্রকাশ হওয়ায় স্থানীয়ভাবে আনন্দ উল্লাস বইতে শুরু করেছে। স্থানে স্থানে মিষ্টিমুখ করা হচ্ছে। কমলগঞ্জে মেডিকেল কলেজ স্থাপনসহ ব্যাপক উন্নয়নের দাবি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড় উঠেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শপথ শেষে তাকে দপ্তর বুঝিয়ে দেয়া হবে। বাংলাদেশ সৃষ্টির পর এই প্রথম কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল আসনের কোন এমপি পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী হিসাবে স্থান পেলেন।
উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ ও সর্বশেষ ২০২৪ সালে তিনি এ আসন থেকে জয়লাভ করেন। ১৯৯৬-২০০১ পর্যন্ত জাতীয় সংসদের সরকার দলীয় হুইপ, ২০০১- ২০০৬ পর্যন্ত সংসদে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ এবং ২০০৯- ২০১৪ পর্যন্ত তিনি জাতীয় সংসদের সরকার দলীয় চিফ হুইপ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১০ম সংসদের তিনি সরকারি প্রতিশ্রুতি সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ২০১৮-২০২৩ পর্যন্ত অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি সংসদ কমিটি, পিটিশন কমিটি ও কার্যপ্রণালী বিধি স¤পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন।
জানা যায়, দীর্ঘ ৩০ বছরের অধিক সময় ধরে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল উপজেলার শিক্ষা, যোগাযোগ, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে রয়েছে তার অবদান। ১৯৯১ সালের প্রথম নির্বাচনে উপাধ্যক্ষ মো: আব্দুস শহীদ সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী প্রয়াত এম, সাইফুর রহমানের সাথে মৌলভীবাজার-৪ আসনে নির্বাচন করে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হন।
কমলগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘যোগ্যতা ও জনগণের ভালোবাসায় উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ পরপর সাতবার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। তাকে মন্ত্রীত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী জনগণের মতামতের প্রতি সম্মান জানিয়েছে।’
কমলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আছলম ইকবাল মিলন বলেন, মৌলভীবাজার জেলা তথা সিলেট বিভাগের কোনো আসনে পরপর সাতবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার রেকর্ড উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ ছাড়া কোনো নেতার নেই। ফলে তাকে পূর্ণ মন্ত্রী করায় উন্নয়ন কর্মকান্ডের ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন থাকবে।
কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক জুয়েল আহমেদ বলেন, যোগ্য ও অভিজ্ঞ পার্লামেন্টেরিয়ান হিসাবে তাকে মন্ত্রীর তালিকায় স্থান দেয়া হয়েছে। এতে মেডিকেল কলেজ স্থাপন, পর্যটন উন্নয়নসহ এলাকার সার্বিক উন্নয়ন দ্রুত তরাম্বিত হবে। উল্লেখ্য, ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ২৩৮ মৌলভীবাজার-৪ (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ) আসনে দুই লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে টানা ৭ম বারের মতো জয়লাভ করেছেন সিলেট বিভাগের প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা, সাবেক চিফ হুইপ, বীর মুক্তিযোদ্ধা উপাধ্যক্ষ ড. মো: আব্দুস শহীদ।
জানা যায়, শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ এ দুটি উপজেলা নিয়ে মৌলভীবাজার-৪ আসন গঠিত। সিলেট বিভাগের বর্ষিয়ান পার্লামেন্টারিয়ান উপাধ্যক্ষ ড. মো: আব্দুস শহীদকে উন্নয়নের রুপকার হিসেবে বলেন স্থানীয়রা। তিনি মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে এলাকায় ব্যাপক বিদ্যুতায়নের কাজ করেন। সবশেষে নিজ নির্বাচনী এলাকার শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় এনেছেন। ২০১৮ সালে তিনি কমলগঞ্জ উপজেলা সদরের কমলগঞ্জ গণ মহাবিদ্যালয় এবং কমলগঞ্জ মডেল উচ্চ বিদ্যালয়কে সরকারিকরণ করেন। দুই উপজেলার দলীয় নেতাকর্মী, সুধীমহল ও সাধারণ ভোটাররা উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ এমপিকে পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে পাওয়ায় আনন্দে উদ্ভাসিত।
দীর্ঘ ৩০ বছরের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল উপজেলার শিক্ষা, যোগাযোগ, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে রয়েছে তার অবদান। ১৯৯১ সালের প্রথম নির্বাচনে উপাধ্যক্ষ মো: আব্দুস শহীদ সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী প্রয়াত এম, সাইফুর রহমানের সাথে মৌলভীবাজার-৪ আসনে নির্বাচন করে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হন। তখন এম, সাইফুর রহমানের জামানত বাজেয়াপ্ত হলে আলোচনায় সরব হয়ে উঠেন প্রবীন এ পার্লামেন্টারিয়ান। এলাকায় জনপ্রিয় এ নেতাকে সাধারণ মানুষ বারবার নির্বাচিত করেছেন। সাধারণ মানুষ এবার তাকে পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে মন্ত্রীসভায় দেখতে চাইছেন।
উপাধ্যক্ষ ড. মো: আব্দুস শহীদকে পূর্ণমন্ত্রী দিলে পর্যটন খ্যাত মৌলভীবাজার জেলাকে উন্নয়নে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবেন বলে বিশ্বাস করেন তারা। তার এই বিশাল ব্যবধানে জয় আওয়ামী লীগের উন্নয়নের কারণেই হয়েছে বলে জানান দলের নেতাকর্মীরা। গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে দুই উপজেলায় আব্দুস শহীদের (নৌকা) মোট প্রাপ্ত ভোট ২ লক্ষ ১২ হাজার ৪৯১। আর বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী আবদুল মহিত হাসামী (মোমবাতি) প্রাপ্ত ভোট ৫ হাজার ৩৯০। ২ লক্ষ ৭ হাজার ১০১ ভোটের ব্যবধানে বেসরকারিভাবে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
উপাধ্যক্ষ ড. মো: আব্দুস শহীদ কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গলসহ জেলাবাসীকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে গণমাধ্যমেকে বলেন, এবার আমার পরিকল্পনা পূরণ করতে চাই। জননেত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে আমাকে অতীতে স্নেহ করেছেন এবারও তার স্নেহ পাব আশা করি।
তিনি বলেন, এ বিজয় নৌকার, এ বিজয় এলাকার মানুষের। আগামীতে এ এলাকার মানুষের জন্য কাজ করে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন তিনি। তাঁকে মন্ত্রীসভায় স্থান দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্র