প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি গোয়াইনঘাট। হেমন্তের শেষে শীতের আগমনী বার্তা জানান দিতে এই উপজেলার বিভিন্ন হাওর কিংবা বিলে এখন পাড়ি জমিয়েছে অতিথি পাখিরা। তেমনি একটি গোয়াইনঘাট উপজেলার খাইরাই ১০খন্ড হাওর। সেখানে পাখির কলরবে মুখরিত হয়ে উঠেছে পুরো হাওর। কুয়াশা জড়ানো সকালে সূর্য উঠার সাথে সাথে বিচরণ শুরু হয় অতিথি পাখিদের। পাখিদের কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে যায় পুরো হাওর। যেন পাখিদের প্রিয় জায়গায় পরিণত হয়েছে এই হাওর ।
উপজেলার রুস্তমপুর ইউনিয়নের কাটাখাল ব্রিজ সংলগ্ন খাইরাই ১০খন্ড হাওরে দেখা যায়, কিছু পাখি আপন মনে আকাশে উড়ছে। কিছু পাখি বিলের পারে কিংবা গাছের ডালে আপন মনে বিশ্রাম নিচ্ছে। দল বেঁধে ঝাঁক বেঁধে সাঁতার কাটছে কিছু পাখি। পাখির কিচিরমিচির শব্দে প্রাণবন্ত চারপাশ। দিনভর বিলের জলে পাখিদের ভেসে বেড়ানো ও জলকেলি খেলা চলে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। সন্ধ্যা হলে পাখিগুলো আশ্রয় নিচ্ছে বিভিন্ন গাছে।নপ্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও আগমন ঘটেছে অতিথি পাখিদের। অতিথি পাখিরা সাধারণত শীতপ্রধান দেশ থেকে এদেশে আসে। তীব্র শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচার জন্যে সুদূর তিব্বত, সাইবেরিয়া, হিমালয় পাদদেশ, মঙ্গোলিয়াসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে কয়েকমাসের জন্য এদেশে আসে তারা।
সমাজকর্মী ও সাংবাদিক সৈয়দ হেলাল আহমেদ বাদশা বলেন, শীতকালীন সৌন্দর্যের অন্যতম কারণ হলো অতিথি পাখির আগমন। অতিথি পাখির এ কলকাকলি হাওরকে মুগ্ধ করে রাখে। পাখিদের আগমনে যেন হাওরটি পাখিদের রাজ্যে রুপান্তরিত হয়ে যায়। তিনি আরোও বলেন, পাখিদের কিচিরমিচির প্রকৃতিতে এক অন্যরকম পরিবেশ তৈরি করেছে। পাখিদের ক্ষতি হয় এমন কাজ থেকে আমাদের বিরত থাকতে হবে এবং তাদের সংরক্ষণে সবাইকে সচেতন হতে হবে। যদি নিরাপদভাবে অভয় দিয়ে তাদের বিচরণ করতে আমরা সহায়তা করি; তাহলে পাখির সংখ্যা ভবিষ্যতে আরো বাড়বে।