মৌলভীবাজার-৪ (শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ) আসনে সপ্তমবারের মতো আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন সংসদ সদস্য মো. আব্দুস শহীদ। গত ৫ বছরে ৬ বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্যের আয় বেড়েছে মাত্র দেড় লাখ টাকা, তবে বেড়েছে নগদ অর্থ ও সম্পদ।তার বার্ষিক আয় প্রায় ৬৬ লাখ ৬২ হাজার টাকা। পাঁচ বছর আগে আয় ছিল প্রায় ৬৫ লাখ টাকা। অস্থাবর সম্পদ ছিল ৩ কোটি ৫৬ লাখ টাকা, যা পাঁচ বছর পর বেড়ে হয়েছে ৫ কোটিরও বেশি। বর্তমানে নগদ অর্থের পরিমাণ ১ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। পাঁচ বছর আগে ছিল ৫১ লাখ টাকা। পাঁচ বছরে বেড়েছে দ্বিগুণ।মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া হলফনামা পর্যালোচনায় দেখা গেছে, তিনি কৃষি খাত থেকে আয় করেন ৬০ হাজার টাকা, বাড়ি ও অ্যাপার্টমেন্টের ভাড়া ৭ লাখ ৭৯ হাজার ৬১৫ টাকা, ব্যবসায় ৩০ লাখ ৭০ হাজার টাকা, শেয়ার ও ব্যাংক আমানত থেকে ৫৬ হাজার ৪৩৩ টাকা, চাকরি ও সংসদ সদস্যের সম্মানী ২৪ লাখ ৯৬ হাজার ১৮৩ টাকা ও গ্লোবাল লিংক ফিলিং স্টেশন থেকে ২ লাখ টাকা উপার্জন করেন। সব মিলিয়ে তার বর্তমান বার্ষিক আয় প্রায় ৬৬ লাখ ৬২ হাজার টাকা।আব্দুস শহীদের নগদ টাকা ১ কোটি ৯৬ লাখ ২৪ হাজার ৯০৫ টাকা। স্ত্রীর আছে ৭ লাখ ১২ হাজার ৯২ টাকা। ব্যাংকে জমা আছে ৮ লাখ ৮৫ হাজার ২০৫ টাকা ও স্ত্রীর নামে ৭ লাখ ৫৮ হাজার ৭১৩ টাকা, বন্ড ও কোম্পানির শেয়ার আছে ১ কোটি ৮৬ লাখ ২৫ হাজার ৪১৩ টাকার। স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ আছে নিজের ৩০ হাজার ৫০০ টাকা ও স্ত্রীর ৪৩ হাজার টাকা। এ ছাড়া স্ত্রীর নামে এফডিআর আছে ২৫ লাখ ৩৫ হাজার ৯২৪ টাকা।তিনি ৩৪ লাখ ৫৫ হাজার টাকা মূল্যের যানবাহনের মালিক। নিজের ৭৫ হাজার টাকার স্বর্ণ আছে। ১ লাখ ৯৩ হাজার টাকার ইলেকট্রনিকস সামগ্রী ও ২ লাখ ১৫ হাজার টাকার আসবাবপত্র আছে। ভাড়া জমিতে ৪৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা মূল্যের আছে মৎস্য খামার। সব মিলিয়ে নিজের ও স্ত্রীর মোট অস্থাবর সম্পদ ৫ কোটি ১৬ লাখ ৯৩ হাজার ৭৫২ টাকা।স্থাবর সম্পদের মধ্যে ৫ দশমিক শূন্য ৭ একর কৃষিজমির দাম ১১ লাখ ৮৩ হাজার টাকা, টি প্ল্যান্টেশন করা ১৬ দশমিক ৭৫৫ একর অকৃষি জমির মূল্য ১০ লাখ ৯২ হাজার ২০০ টাকা, স্ত্রীর নামে ১২ হাজার টাকার ১৫ শতাংশ জমি আছে। তিনি দুটি আবাসিক দালানের মালিক। মূল্য ৮ লাখ ৭ হাজার ৬০০ টাকা, আটটি অ্যাপার্টমেন্টের দাম ১ কোটি ১৯ লাখ ২৮ হাজার ৩৫০ টাকা ও গ্লোবাল লিংক ফিলিং স্টেশনের মূল্য ১০ লাখ ২১ হাজার ৭৭৫ টাকা।২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনে জমা দেওয়া হলফনামায় কৃষি খাতে তার আয় ছিল ৫০ হাজার টাকা, বাড়ি ও অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া পেতেন ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৯৮৭ টাকা, ব্যবসা থেকে ৩২ লাখ ৫৫ হাজার, শেয়ার ও ব্যাংক আমানত থেকে ৪৪ হাজার ৬৭৪ টাকা। স্ত্রী পেতেন ৯৪ হাজার ৭১৩ টাকা, চাকরি ও সংসদ সদস্যের সম্মানী পেতেন ২৩ লাখ ১৪ হাজার ৮৯৭ ও গ্লোবাল লিংক ফিলিং স্টেশন থেকে বছরে ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬০০ টাকা আয় করতেন। সর্বমোট বার্ষিক আয় ছিল ৬৫ লাখ টাকা।অস্থাবর সম্পদ ছিল নিজের নগদ ৫১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৭৫ ও স্ত্রী কাছে ছিল ৩ লাখ ৮৯ হাজার ৪৪৬ টাকা। ব্যাংকে জমা ছিল ৫ লাখ ১৪ হাজার ৯২৫ টাকা ও স্ত্রীর নামে ছিল ৬ লাখ ৭৬ হাজার ৫৫৪ টাকা। বন্ড ও কোম্পানির শেয়ার ছিল ৯৩ লাখ ৪০ হাজার ৮০ টাকা ও স্ত্রীর নামে ছিল ১ লাখ ৩৬ হাজার ২৬৮ টাকা। সঞ্চয়পত্র ও স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ ছিল ২ লাখ ও স্ত্রীর এফডিআর ছিল ১৯ লাখ ৬০ হাজার ৩১৯ টাকা। ১ কোটি ৪৬ লাখ ৩ হাজার ৮০০ টাকার যানবাহন, ৭৫ হাজার টাকার স্বর্ণ, ৯৩ হাজার টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী ও ২ লাখ ১৫ হাজার টাকার আসবাবপত্র ছিল।এ ছাড়া টি প্ল্যান্টেশনসহ অন্যান্য ব্যবসায়ে তার মূলধন ছিল ২২ লাখ ৫৫ হাজার টাকার। সব মিলিয়ে তিনি ও স্ত্রী ৩ কোটি ৫৬ লাখ ৭ হাজার ৩৮০ টাকা মূল্যের অস্থাবর সম্পদের মালিক ছিলেন।