১৪-দলীয় জোটের শরিকদের জন্যে ৭টি আসন ছেড়ে দিচ্ছে আওয়ামী লীগ। ক্ষমতাসীন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক সংবাদ সম্মেলনে শরিকদের জন্য আসন ছাড় দেওয়ার তথ্য জানান।তিনি বলেছেন, শরীকদের কাউকে নির্বাচনে ‘বিজয়ের গ্যারান্টি’ দেবে না আওয়ামী লীগ। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেই বিজয়ী হতে হবে। শরিকদের জন্য সাতটি আসনের বেশি ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই।শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।১৪-দলীয় জোটের শরিকদের মধ্যে ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) তিনটি করে এবং জাতীয় পার্টি (জেপি) একটি মোট সাতটি আসনের আশ্বাস পেয়েছে এ তিনটি দল। তবে তা প্রত্যাখ্যান করার কথা জানিয়েছেন ১৪ দলের শরিক জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু।ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা কোনো ছাড় দেবে না। দেশে ভালো নির্বাচনের রেকর্ড হবে, কোনো পক্ষপাতিত্ব থাকবে না। কিন্তু বিএনপি এই নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে।সাতটি আসনের বিষয়টি প্রত্যাখ্যানের সঙ্গে আসন সংখ্যা আরও বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন জাসদ সভাপতি। একই সঙ্গে ইনু শর্ত দেন, যেসব আসনে তাদের ছাড় দেওয়া হবে সে আসনগুলোয় আওয়ামী লীগের ও স্বতস্ত্র প্রার্থী উঠিয়ে নিতে হবে।শরিকদের আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থিতা বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রতিযোগিতা হোক। এখানে পক্ষপাতিত্বের কী আছে? আমরা জোর করে কারও বিজয় ছিনিয়ে আনব না। আমরা কাউকে বিজয়ের গ্যারান্টি দিতে পারব না।’তিনি আরও বলেন, ‘আমি পার্টির সাধারণ সম্পাদক, আমার বিরুদ্ধেও চারজন (স্বতন্ত্র প্রার্থী) আছেন। এখন কেউ যদি জিতে যান, তাহলে তো আমাকেও হার মানতে হবে। প্রতিদ্বন্দ্বিতা, প্রতিযোগিতা যেটা আছে সেটা আমরা মেনে নিয়েছি।’শরিকদের সাথে সাথে আলাপ আলোচনা হচ্ছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আপনারা সবাই আসন সমঝোতা নিয়ে কথা বলেন, এখানে আমরা এই সময়ে আমাদের এই এলায়েন্সটা কে যতটা রাজনৈতিক মূল্য দিচ্ছি, এখানে আসনের বিষয়টা মূখ্য না। এখানে মূখ্য হচ্ছে রাজনীতি। জঙ্গিবাদী শক্তির বিরুদ্ধে আমাদের এই ইলেকশন।তিনি বলেন, বাংলাদেশের মাটি থেকে এই অপশক্তিকে আমাদের পরাজিত করতে হবে। নির্বাচনে আসেনি। তারা নাশকতা করছে, কতদিন করবে? নাশকতা জনগণ সমর্থন করে না। বিএনপিকে এই নাশকতার জন্যেই তাদের আন্দোলনে জনসম্পৃক্ত করতে পারেনি।এ সময় তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, তাদের আন্দোলনে জনগণ ছিল? তাদের কর্মীরা ছিল? সামনের দিকে তাদের এ জনবিচ্ছিন্নতা আরও বাড়বে।এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ।
Leave a Reply