ফরিদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম হক, বরিশাল-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাম্মী আহম্মেদ এবং বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) নির্বাচন ভবনে আপিল শুনানিতে এ রায় দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আওয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশনের আদালত।শামীম হকের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে আপিল করেছিলেন একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ। তার আপিল মঞ্জুর করায় শামীম হকের প্রার্থিতা বাতিল হলো।এদিকে এ কে আজাদের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে শামীম হকের আপিল আবেদন নামঞ্জুর করেছে নির্বাচন কমিশন। ফলে একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের প্রার্থিতা বহাল রইল।শামীম হক নেদারল্যান্ডসের নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন বলে দাবি করলেও এর সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়। তিনি নাগরিকত্ব ত্যাগের সপক্ষে যেসব নথি নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দিয়েছেন, সেখানে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন বলেও অভিযোগ ওঠে।একই অভিযোগে প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে বরিশাল-৪ (মেহেন্দীগঞ্জ-হিজলা) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শাম্মী আহম্মেদের। রিটার্নিং কর্মকর্তা দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেছিলেন।বরিশাল-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তার বিরুদ্ধে দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগ আনেন একই আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। সাদিক আবদুল্লাহ আমেরিকার নাগরিক, এই অভিযোগ এনেছিলেন প্রতিমন্ত্রী।গত জুনে বরিশাল সিটি নির্বাচন ঘিরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যে বিভাজন দেখা দিয়েছিল, সংসদ নির্বাচনে তা চূড়ান্ত রূপ নিয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-৫ আসনে দলীয় মনোনয়ন চেয়েও পাননি মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদিক আবদুল্লাহ। মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য জাহিদ ফারুক। এ অবস্থায় সাদিক আবদুল্লাহকে স্বতন্ত্র প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নেয় মহানগর আওয়ামী লীগ।এবার ৩০০ সংসদীয় আসনে ২ হাজার ৭১৬টি মনোনয়নপত্র জমা পড়ে। বাছাইয়ে ৭৩১টি মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইসিতে মোট ৫৫৮টি আপিল হয়েছে। ১০ ডিসেম্বর আপিল শুনানি শুরু হয়। আজ শুনানির শেষ দিন।সংবিধান অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব অর্জন করলে তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অযোগ্য।