গোয়াইনঘাট উপজেলা শিক্ষা অফিসে লোকবল ও কক্ষ সঙ্কটের কারণে কার্যক্রমে স্হবিরতা বিরাজ করছ। ব্যহত হচ্ছে বিদ্যালয় তদারকিসহ নানা কার্যক্রম। শিক্ষা কর্মকর্তা জানান লোকবল সঙ্কটেও কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।
প্রায় ৫'শত বঃ কিঃ আয়তনের ১৩টি ইউপি নিয়ে গঠিত সিলেটর সীমান্তবর্তী উপজেলা গোয়াইনঘাট। ১৩৬টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী প্রায় ২৭ হাজার।দীর্ঘদিন থেকে লোকবল সঙ্কট রয়েছে এই কার্যালয়ে।রয়েছে অফিসের কক্ষ সঙ্কট। অফিসটির উর্ধমুখী সম্প্রসারণ জরুরী হলেও উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসছে না। একাধিকবার স্টিমিট পাঠালেও কার্যকর হয়নি। গত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটি মেরামতও জরুরী হয়ে পড়েছে। এই অফিসে মোট ১১টি পদের শূন্য রয়েছে ৮টি। ৬টি ক্লাসটারে বিভক্ত বিদ্যালয়গুলোর ৬জন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার পদে আছেন মাত্র এক জন। অফিস সহকারী ৩ জনের স্হলে রয়েছেন মাত্র একজন। অফিসে নেই কোন অফিস সহায়ক। গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের দীর্ঘ পদশূন্যতা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রমেকে ব্যহত করছে, অপর দিকে অফিসের কক্ষ সঙ্কট, সহকারীদের পদশূন্যতা, দাপ্তরিক কাজে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্তব্যরতদের।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা প্রতুল চন্দ্র সরকার বলেন সারা বৎসরে একদিন করে পরিদর্শনে গেলেও সকল বিদ্যালয় দেখা সম্ভব হয় না। ভবনটির উর্ধমুখী সম্প্রসারণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষেকে লিখিতভাবে কয়েকবার জানিয়েছি। উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে পদশূন্যতা পূরন, ভবনের জরুরী মেরামতসহ উর্ধমুখী সম্প্রসারণে শিক্ষাবন্ধব সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আন্তরিক হবেন এমন প্রত্যাশা গোয়াইনঘাটবাসীর।