1. admin@jalalabadtims.com : admin :
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৪৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বড়লেখা সীমান্তে চা শ্রমিক গোপাল হত্যায় জামায়াতের নিন্দা সীমান্তে হত্যার বিচার না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে- বিএনপি নেতা সাজু বড়লেখার সীমান্তে পড়েছিল চা শ্রমিকের গুলিবিদ্ধ নিতর দেহ মহান বিজয় দিবসে ৩ নং পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন ছাত্রদলের শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ অনিয়মের সম্রাট হরলাল সরকার ” কোম্পানিগঞ্জ স্টেশনে ৬ বছর”  একই স্টেশনে হরলাল সরকার ৬ বছর” দুর্ণীতির টাকায় গড়েছেন অর্থের পাহাড় জৈন্তাপুরে শ্রীপুর কুয়ারীতে বার বার অভিযান সত্ত্বেও থামছে না বালু পাথর চুরি গোয়াইনঘাটে ছাত্রদল সভাপতি পরিচয়ে হাসানের বেপরোয়া চাঁদাবাজী জৈন্তাপুরে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস উপলক্ষে র‍্যালী ও আলোচনা সভা গোয়াইনঘাট ফতেপুর ইউনিয়ন জামায়াতের কমিটি গঠন “সভাপতি মিসবাহ সেক্রেটারি নজরুল

এই সরকারের পদত্যাগ ছাড়া কোন নির্বাচন হবে না: সিলেটে ফখরুল

রাহাত
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ৯ জুলাই, ২০২৩

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে দেশে আর কোন নির্বাচন হবে না। এই সরকারকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে। পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে।

রোববার বিকেলে সিলেট নগরের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল আয়োজিত ‌তারুণ্যের সমাবেশে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমনটি বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ বলে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। কিন্তু কোন সংবিধান? যে সংবিধান আওয়ামী লীগ নিজেরাই কাটছাট করে নিজেদের মতো করেছে। সেই সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন করতে চায় তারা। অথচ বাংলাদেশের জনগন আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে- নির্বাচন হবে নির্দলীয় সরকারের অধীনে। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। বিশেষত আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। তার প্রমাণ গত দুটি নির্বাচনে পাওয়া গেছে। দেশে এখন কারো ভোটাধিকার নেই। জনগন ভোট দিতে পারে না। ভোটাধিকারের কথা বললে হামলা, নির্যাতন, গুম, খুন করা হয়।

স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল আরো বলেন, আওয়ামী লীগ কথায় কথায় উন্নয়নের কথা বলে। অথচ উন্নয়নের নামে তারা লুটপাট করছে। শতভাগ বিদ্যুতের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটে নেয়া হয়েছে। সরকারি গবেষণা সংস্থাই বেসরকারি বিদ্যুত কেন্দ্রের সাথে চুক্তিকে অপচুক্তি ও লুটেরা মডেল বলা হয়েছে। গত এক বছরে ২৪ হাজার কোটি টাকা লুট হয়েছে বলে সরকারি সংস্থার পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে। আদতে গত দুই বছরে বিদ্যুত খাতে ১ লক্ষ ৪৮ হাজার কোটি টাকা লুট করা হয়েছে।

কেবল বিদ্যুৎ নয়, সবক্ষেত্রেই লুটপাট চলছে। যে পদ্মাসেতু নির্মাণে ১০ হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন সেটির জন্য ২০ হাজার কেটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। দুর্নীতি করে স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, সরকার কেল রাস্তাঘাট বানাচ্ছে কিন্তু কোন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে। দেশে লাখ লাখ লোক বেকার। কৃষক ফসলের দাম পায় না। অথচ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। মানুষ খেতেো পারছে না। এই হলো আওয়ামী লীগের উন্নয়ন।

১২ জুলাই ঢাকায় তারুণ্যর সমাবেশ করা হবে জানিয়ে ফখরুল বলেন, এই সমাবেশের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। এই সমাবেশ থেকে সমগ্র তরুণ সমাজ দেশকে পুণরাদ্ধার রার জন্য গণতন্ত্র পুণরুদ্ধার করার জন্য রাস্তায় নেমে এসেছেন। ১২ জুলাই ঢাকার সমাবেশ থেকে বর্তমান সরকারের পদত্যাগে এক দফা কর্মসূচী দেয়া হবে। আন্দোলনের মাধ্যমেই সরকারকে হটাতে হবে।

সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমান আজ দেশ বাঁচানোর ডাক দিয়েছেন। তার আহ্বানে রাজপখে নেমে এসেছে বাংলার তরুণ সমাজ। আজ তরুণরা জচেগে উঠেছে। তরুণরা জেগে উঠলে কোন স্বৈরশাসকই ক্ষমতায় টিকতে পারেনি। এই সরকারও টিকে থাকতে পারবে না।

এসময় উপস্থিত জনতাকে সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া ও ঘরে না ফেরার শপথবাক্য পাঠ করান টুকু।

যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, স্বেচ্ছাসেবকল দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ বক্তার বক্তব্য রাখেন ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হোসেন জীবন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্ঠা তাহসীনা রুশদীর লুনা, জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, মহানগর কমিটির সভাপতি নাসিম হোসাইন প্রমুখ।

এছাড়া গুম হওয়া বিএনপি নেতাদের পরিবারের সদস্যরা ও নির্যাতিন বিএনপি নেতাদের কয়েকজন এই সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।

বিকেলে সমাবেশ শুরু হলেও দুপুর থেকে সিলেোট বিভাগের বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল নিয়ে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা সমাবেশস্থলে উপস্থিত হন।

এদিকে একইদিনে ও একই সময়ে নগরের রেজিস্ট্রারি মাঠে ‌’তারুণের জয়যাত্রা’ নামে সমাবেশ করে সিলেট জেলা ও মহানগর যুবলীগ। এতে পধান অতিথির বক্তব্য রাখেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল।

প্রায় দুই কিলোমিটারের মধ্যে দুই দলের সমাবেশে ঘিরে নগরে উত্তেজনা দেখা দিলেও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

Facebook Comments Box

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park
error: Content is protected !!