বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় নির্মাণাধীন ৫ টি সেতুর কাজ সমাপ্তের জন্য সংশ্লিষ্টদের চিঠি দিয়ে অনুরোধ জানিয়েছে গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদ। বর্ষা নামার আগে সেতু গুলোর নির্মাণ কাজ সমাপ্ত না হলে উপজেলার দুই লক্ষাধিক মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়বে বলে গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদ আশঙ্কা করছে। জানা যায়, সিলেট-৪ (চার) আসনের সাংসদ সদস্য ও সরকারের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সালুটিকর – গোয়াইনঘাট সড়কে নন্দিরগাওঁ ইউনিয়নে হাটগং সেতু,তোয়াকুল ইউনিয়নে তোয়াকুল সেতু,রুস্তুমপুর ইউনিয়নের বঙ্গবীর সেতু,গোয়াইনঘাট – আহারকান্দি সড়কে গোয়াইঘাট সদর ইউনিয়নে উনাইর ভাঙ্গায় সেতু ও গোয়াইনঘাট – রাধানগর সড়কে শিমুল তলায় সেতু বরাদ্দ হয়। উল্লেখিত সেতু গুলোর নির্মাণ কাজ ধীরগতিতে চলছে। বর্ষা নামার আগে জনগুরুত্বপূর্ণ
গোয়াইনঘাট উপজেলা সদরের সাথে সংযোগ রক্ষাকারী সালুটিকর – গোয়াইনঘাট সড়ক,গোয়াইনঘাট আহারকান্দি সড়ক ও গোয়াইনঘাট – রাধানগর সড়কের মধ্যে নির্মাণাধীন ৫ টি সেতুর কাজ সমাপ্ত না হলে নন্দিরগাওঁ, তোয়াকুল,রুস্তুমপুর, পশ্চিম জাফলং, মধ্য জাফলং এবং গোয়াইনঘাট সদর ইউনিয়নের আংশিক ইউনিয়নবাসীর উপজেলা সদরের সাথে সড়ক পথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। নির্মাণাধীন ওই ৫ টি সেতুর নির্মাণ কাজ বর্ষা মৌসুমের আগে দ্রুত শেষ করার জন্যে নন্দিরগাওঁ, তোয়াকুল, রুস্তুমপুর, মধ্য জাফলং ও গোয়াইনঘাট উপজেলা সদর ইউনিয়ন থেকে কয়েকটি আবেদন পত্র গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবরে জমা হয়েছে। বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে দেয়া আবেদনের প্রেক্ষিতে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখে গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদ। এছাড়াও প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি’র উপস্থিতিতে ৫ম উপজেলা পরিষদের ৪৭ তম সভায় মধ্য জাফলং, পশ্চিম জাফলং ও নন্দীরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সভায় বর্ষা নামার আগে উক্ত ৫ টি সেতুর নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করার বিষয়টি অবগত করেন। প্রস্থাবটি অত্যন্ত জন গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে অবগত করার জন্য উপজেলা পরিষদ সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। পরবর্তীতে ৫ম উপজেলা পরিষদের ৪৮ তম সভায় সর্বসম্মতিক্রমে রেজ্যুলেশ হিসেবে পাশ করা হয়। উক্ত ৫ টি সেতুর নির্মাণ বর্ষার আগে সমাপ্ত করতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি, স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের সচিব, সিনিয়র সচিব, বিভাগীয় কমিশনার ও সিলেট জেলা প্রশাসক বরাবরে পত্র দেয়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ বিষয়ে গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফারুক আহমদ বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার জনগণের সুবিধার কথা চিন্তা করে গোয়াইনঘাট উপজেলায় ৫ টি সেতু বরাদ্দ দিয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেগুলোর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু ঠিকাদারী প্রতিষ্টান গুলো ধীরগতিতে কাজ করছে। তাদের কাজের গতিতে বুঝাচ্ছে সেতু গুলোর কাজ বর্ষার আগে সমাপ্ত হওয়া সম্ভব নয়। সেতু নির্মাণ কাজে
ঠিকাদারী প্রতিষ্টানের গাফলাতির কারনে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। স্থানীয় জনসাধারণ ও জনপ্রতিনিধিরা ওই সেতু নির্মাণকারী প্রতিষ্টানের উপর চরম বিক্ষোভ করছেন। বিষয়টি সুরাহার জন্য জন্য উপজেলা পরিষদ প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপিসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে পত্র চালাচালি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি বলেন, সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলা দেশের সীমান্তবর্তী ও নিন্মাঞ্চল এলাকা। গোয়াইনঘাটে অধিকাংশ সময় পাহাড়ি ঢলে আকস্মিক বন্যা হয়ে থাকে। বন্যা প্রবন এলাকায় সরকার জনগণের সুবিধার জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজের সময় সীমা নির্ধারণ করে দেয়। এরই আলোকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তাদের কাজ বাস্তবায়ন করে। গোয়াইনঘাটের নির্মাণাধীন ওই ৫ টি সেতুর কাজ বর্ষা মৌসুম শুরুর আগে শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
Leave a Reply