জৈন্তাপুরে যুক্তরাজ্য এক প্রবাসীর জমি দখল ও দেশে ফিরলে তাকে হত্যার হুমকি প্রদান করা হচ্ছে। এতে করে চরম সংকটে ও নিরাপত্তাহীনতায় দিনপার করছে প্রবাসীর দেশে থাকা পরিবারের সদস্যরা। ভুক্তভোগী ওই প্রবাসীর নাম আলি আকবর সিদ্দিকী। সে জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত কালিন্জিবাড়ী গ্রামের মৃত ইদ্রিস আলির ছেলে।এ বিষয়ে আলি আকবর সিদ্দিকীর পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ১৯৭১ সালে দেশভাগের পর যুদ্ধ বিদ্ধস্ত দেশে জমি ফেলে যাওয়া বা অর্পিত সম্পত্তি স্হায়ী বন্দবস্ত নেয় আলি আকবর সিদ্দিকীর পূর্ব পুরুষেরা। ওই সময় থেকে নিয়মিত সরকারি ভূমি কর আদায় করে আসছিলো তার পরিবার।পরবর্তীতে বেশ কয়েকবছর পেরিয়ে গেলে তাদের বন্দোবস্তকৃত জমির উপর নজর পড়ে এলাকার কিছু ভূমিখেঁকো চক্রের।এই চক্রের অন্যটম মূলহোতা বলু মিয়া,আবদুল মুছব্বির,রাশিদ আলি,আবদুল্লাহ্,জলিল গং। তারা বিভিন্ন সময়ে তার পরিবারের উপর নির্যাতন চালাতে থাকে।এর পাশাপাশি বিগত ২০০৬ সালে অজিত ভূষন দত্ত নামে এক ব্যাক্তি মালিকানা দাবি করে মিথ্যা মামলা দিয়ে জমি দখলের পায়তারা করে ব্যার্থ হয়। তবে তাদের নির্যাতনের মাত্রা চরমে পৌছে।তারদের পরিবারের সবার বড় আব্দুল হক যখন মৃতু্যবরণ করেন, তারা সবাই মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন, তার পরিবার দাবি করেন তার কারনে কোন সন্ত্রাসী ও ভূমিখেঁকো জমি দখল বা আক্রমণ করতে সাহস পেতোনা। তার এ বিয়োগের ফলে চরম ভাবে উত্তেজিত হয়ে পড়েছে, জমি ও বাড়ি দখলে ভূমিখেঁকো বিত্তশালীরা।
এতে করে তার পরিবার বেশ কয়েকবার শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতনের স্বীকার হতে হয়েছে। পারিবারিক ও প্রতিবেশীদের সুত্রে জানা যায়, ভূমিখেঁকো চক্রের নির্যাতনে শামছুল হক নজর বন্দী অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
সর্বশেষ তাদের পরিবার ও জমির উপর দৃষ্টি পড়ে স্হানীয় রিসোর্ট ব্যবসায়ী নাজিম আহমেদ কামরানের। তার একান্ত দোসর হিসেবে পরিচিত , অজিদ ভূষন, আহমদ আলী,আব্দুস সামাদ শামীম আহমেদ, আবদুল্লাহ্ মুছব্বির গং দের অবর্তমানে জাল দলিল করে রিসোর্টের ভূমি বলে তাদের বৈধ জমি দখলের পায়তারা শুরু করে। তাচাড়া অনেক বিত্তশালী এবং ভূমিখেঁকো দিয়ে তাদের সাজানো বাগানবাড়ি থেকে উচ্ছেদর জন্য বিভিন্ন ভাবে আক্রমণ চালাচ্ছেন। কিন্তু আলি আকবর সিদ্দিকীর দৃঢ়তা শক্ত অবস্থানের কারণে সেই জমি দখল করতে তারা ব্যর্থ হয়। পরবর্তীতে ২০১৩ সালের ১২ই এপ্রিল মিথ্যা মামলা দিয়ে আকবর আটক করানো হয় জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশ দিয়ে। সেখানে রাতভর তাকে পাশবিক নির্যাতন করা হয়। পরে স্হানীয় গ্রামবাসী থানার সামনে মানববন্ধন করলে পুলিশ তাকে মুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহন করে। কিন্তু তাকে মুক্তি দেয়ার পূর্বে তার অসুস্থতার সুযোগে তার নিকট হতে ছেড়ে দেয়ার শর্তে নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নেয় পুলিশ। এ সময় সে বুজতে পারে নি যে নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে তার মালিকানাধীন তপশিপ বর্ণিত ভূমি ছেড়ে দেয়ার শর্ত উল্লেখ ছিলো।স্বাক্ষর নেয়ার সময় তাকে পড়তে কিংবা পড়ে শুনানো হয় নি বলে সে দাবী করে। পরে আরো কয়েকদিন পর গোয়াইনঘাট থানায় আরো একটি মিথ্যা মামলায় তাকে জড়ানো হয়। এভাবে একে একে মামলা হামলায় জর্জরিত হয়ে প্রান রক্ষার্থে বাধ্য হয়ে আলি আকবর সিদ্দিকী ২০২২ সালে যুক্তরাজ্যে গমন করেন। কিন্তু বিগত ৩ বছরে তাদের হুমকি অব্যাহত রেখেছে।
পরিবারের সদস্যরা দাবি করেন, শত্রুরা বিভিন্ন পরিকল্পনা করতেছে। যার কারণে আলী আকবর সিদ্দিকী দেশে ফিরলে গুম, হত্যা আশংকা রয়েছে । যার কারণে চরম সংকট ও ভয়ে দিন কাটাচ্ছে প্রবাসী আলি আকবর সিদ্দিকীর পরিবার।
Leave a Reply