একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও আওয়ামীলীগ সরকার প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদী লেখার কারণে ছাত্রদল নেতার উপর হামলা ও তার বসতভিটায় ভাংচুর চালায় স্হানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় ছাত্রদলের ওই নেতার বাবা আহত হয়েছেন।স্হানীয় সূত্রে জানা যায়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বিএনপি জোট সরকারের পরাজয়ের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে নিয়ে একটি পোস্ট করে সিলেট এমসি কলেজ শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক আলি আকবর সিদ্দিকী।এ সময় সে শেখ হাসিনার ছবি শেয়ার করে লিখে," রাতের আধারে ভোট চুরি করে অবৈধ ভাবে ক্ষমতায় এসেছে স্বৈরাচার হাসিনা সরকার।" সেই দিন বেশী দূর নয় অচীরেই তাদের পতন সুনিশ্চিত।এই পোস্টটি দেয়ার পর তাকে স্হানীয় উপজেলা ছাত্রলীগের কর্মী হাবিব, নেহাল,জাকারিয়া, সাগর সেন সহ অনেকে মোবাইল ফোনে হুমকি দিতে থাকে।সেই সাথে পোস্ট ডিলিট দিয়ে নানান ধরনের চাপ প্রোয়গ করতে থাকে তারা। কিন্তু কোন প্রকার হুমকিতে সে কর্ণপাত না করায় পরদিন সকালে (১৭ জানুয়ারী ২০১৯) ছাত্রলীগের ১৫/২০ জন কর্মী তার বাড়ীর উঠানে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় আলি আকবরকে ঘর থেকে টেনে উঠানে ফেলে তারা মারধর করে। এক পর্যায়ে তার বাবা ইদ্রিস আলি ছেলেকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তার উপরও হামলা করে ছাত্রলীগের কর্মীরা। পরে তার বসতভিটা ও আসবাবপত্র ভাংচুর করে তাকে এলাকা ছাড়ার কথা বলে তারা বাড়ী থেকে চলে যায়।পরে আহত আলি আকবর ও তার বাবাকে স্হানীয়দের সহায়তায় জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসা গ্রহনকালে তার এক নিকট আত্মীয় জৈন্তাপুর মডেল থানায় বিষয়টি মৌখিক ভাবে অভিযোগ করলে পুলিশ কোন পদক্ষেপ নেয় নি।
এদিকে আহত ছাত্রদল কর্মী আলি আকবরের বাবা ইদ্রিস আলি বলেন, ওরা সরকার দলীয় প্রভাবশালী হওয়ায় থানায় কোন মামলা নেয় নি।এ বিষয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ মইনুল জাকির এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।